East-West Metro Update: পাঁচ মাস পরে ফের শুরু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ

ফের ছ’মাসের মাথায় ফের শুরু হতে চলেছে বউবাজারে (Bowbazar) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) থমকে যাওয়া কাজ। কেএমআরসিএল-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ওই কাজ শুরুর ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে হাইকোর্ট (High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, মাদ্রাজ আইআইটি-র বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গ (Tunnel) খোঁড়ার কাজ শুরু করুক মেট্রো। তবে প্রতিদিনের কাজে নজরদারি রাখতে হবে।

পাঁচ মাস পরে ফের শুরু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১২ ফেব্রুয়ারি: ফের ছ’মাসের মাথায় ফের শুরু হতে চলেছে বউবাজারে (Bowbazar) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East-West Metro) থমকে যাওয়া কাজ। কেএমআরসিএল-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ওই কাজ শুরুর ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে হাইকোর্ট (High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, মাদ্রাজ আইআইটি-র বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গ (Tunnel) খোঁড়ার কাজ শুরু করুক মেট্রো। তবে প্রতিদিনের কাজে নজরদারি রাখতে হবে।

চার সপ্তাহ পরে রিপোর্ট নেবে হাইকোর্ট। এই সময়ের খবর অনুযায়ী মেট্রো সূত্রের খবর, মাটির নীচে আটকে থাকা টিবিএম মেশিনটি (TBM Machine) পরীক্ষার পর তা চালু করতে আরও দিন দশেক সময় লাগবে। গত বছর ৩১ অগস্ট মাটি খোঁড়ার সময় বউবাজারে ধ্বস নামে সুড়ঙ্গে। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু পরিবারকে সেখান থেকে অন্যত্র সরাতে হয়। তখন থেকে কেএমআরসিএল কাজ বন্ধ রেখেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টও পরবর্তী অনুমোদন ছাড়া কাজ শুরু করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। এতদিনে বিশেষজ্ঞদের থেকে মতামত নিয়ে কাজ শুরুর ব্যাপারে রিপোর্ট দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই রিপোর্টে কাজ শুরুর ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা নেই জানার পরেই আদালত সবুজ সঙ্কেত দিল। আরও পড়ুন: Transgender Ward In Hospital: বালুরঘাট হাসপাতালে চালু হল ট্রান্সজেন্ডার ওয়ার্ড, উদ্বোধন হল ৪টি শয্যার

ক সময় যেখানে ছিল বিবাদী বাগ মিনিবাস স্ট্যান্ড (Bibadi Bag Mini Bus Stand)। এখন সেখানেই গড়ে উঠছে মহাকরণ মেট্রো স্টেশন (Mahakaran Metro Station)। বউবাজার বিপর্যয় ঘটার পরে, মহাকরণে এই মেট্রো স্টেশন তৈরির জন্য সাবধানী ভূমিকা পালন করছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। মহাকরণ মেট্রো স্টেশনের ঢোকা আর বেরোনোর জন্য দুটি গেট তৈরি করা হচ্ছে স্টিফেন হাউসের সামনে ফুটপাতের ওপর। গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই ক্রমাগত গ্রাউটিং করার কাজ চলছে । জল, সিমেন্ট আর হাডোনেট নামে এক ধরনের রাসায়নিকের সংমিশ্রণ তৈরি করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাটির নীচে। মাটি থেকে প্রায় ৩ মিটার নীচে পাঠানো হচ্ছে এই সংমিশ্রণ। মাটির নীচে রয়েছে জলস্তর বা আকুইফার। ফলে স্টেশন তৈরির কাজের সময় যখন মেশিনের কম্পন হচ্ছে তাতে ক্ষতি হতে পারে এই পুরনো বাড়িগুলোর। কারণ এই সমস্ত এলাকায় যে সমস্ত বাড়িগুলি রয়েছে তার গাঁথনি আলগা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে বেশিরভাগ বাড়ি বহু পুরনো হওয়ায় রয়েছে ইটের গাঁথনি। ফলে বাড়ির নীচে মাটি আলগা হয়ে সরে গেলেই কাঠামো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল বউবাজারের ক্ষেত্রে। তাই এই সচেতন হয়েই চলছে মেট্রোর স্টেশন তৈরির কাজ মাটির নীচে।