এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে সুপ্রিম নির্দেশ আসার পরেই বৃষ্টি মাথায় বুধবার সন্ধেবেলায় আরজি কর হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন সিআইএসএফের কর্তারা। সেই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব এনএস নিগম, আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং কলকাতা পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন সিআইএসএফের আধিকারিক শিখর সাহাঁই।

এই বৈঠকে নিরাপত্তার সংক্রান্ত ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর আপাতত দুই কোম্পানী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে হাসপাতালে। প্রতি কোম্পানীতে ৮০-১২০ জন সেনা জওয়ান থাকে। সেক্ষেত্রে দুই কোম্পানীর মধ্যে ৭০ জন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলে বাকিরা রিজার্ভ হিসেবে থাকবেন। যদিও মোট কতজন জওয়ান আরজি করে থাকবেন এই বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি সিআইএসএফ কর্তারা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা এই নিয়ে বুধবার বৈঠক করেন।

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগাস্ট মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বহিরাগতরা হামলা চালায়। কার্যত হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, আন্দোলনকারীদের মঞ্চ তছনছ করে দেয় ওই দুষ্কৃতিরা। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে ওই সেমিনার হল অর্থাৎ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই জায়গাটি সুরক্ষিত রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।