বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ৫৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে। এই ৫৬ লক্ষের মধ্যে ২০ লক্ষ ভোটার মৃত ও ২৮ লক্ষ ভোটার ভুয়ো। আর এই নামগুলি বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। যদিও এই ইস্যু নিয়ে বিরোধীতা শুরু করেছে বিহারের বিরোধী দলগুলি। এমনকী এই রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসও এই প্রক্রিয়ার চরম বিরোধীতা করেছে। নির্বাচন বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর মতে, বিজেপি যদি ভুয়ো ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তাঁদের সরকারের মেয়াদ এমনিতেই বাড়িয়ে দেওয়া হোক। নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই।

তেজস্বীর মন্তব্যের বিরোধীতায় অগ্নিমিত্রা

এদিকে তেজস্বীর এই দাবির কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বাংলার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) বলেছেন, “তেজস্বী যাদবরা কী চাইছেন? ওরা কি চাইছেন মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় থাকুক, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবের দলের লোকজনেরা ওই মৃত ভোটারদের নাম ব্যবহার করে বিহারে ভোট দিক? রোহিঙ্গারা যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিহারের হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভুয়ো নথিপত্র জোগার করে রয়েছে তাঁদের উচ্ছেদ করতে চাইছেন না তেজস্বী যাদবের মতো নেতারা”।

দেখুন অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য

মমতা সমালোচনায় অগ্নিমিত্রা

অগ্নিমিত্রা আরও বলেন, “যাই হয়ে যাক না কেন এসআইআর বিহারে হয়েছে, আগামীদিনে বাংলাতেও হবে। এবং ১ কোটির বেশি ভুয়ো ভোটারের নাম কাটা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৫ সালে বলেছিলেন বাংলায় নাকি ১ কোটি রোহিঙ্গা রয়েছে। এই নিয়ে তো উনি প্রতিবাদও করেছিলেন। ২০ বছর পরে এমনকী হল যে ওনাকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে হল? ওনার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য দেশ, রাজ্য সবকিছুর ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না”।