মেছেদা, ২৭ আগস্ট: ‘চিদম্বরম তোমার বাপের বাপ, সে জেল খাটছে তুমি ব্যাটা কে’। দুর্নীতি ইস্যুতে এভাবেই দলীয়কর্মীদের তৃণমূলকে মারধর করার ছাড়পত্র দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দেশের প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবু বলেন, ‘অনেক লোককে শিক্ষা দিয়েছি সারা দেশে। আরে তোমার বাপের বাপ চিদম্বরম যদি জেলের ভাত খায়, তুমি ব্যাটা কে? লোকের টাকা ঝেড়ে সম্পত্তি করেছে, এখন মাটিতে বিছানা পেতে শুচ্ছে।’ মেছেদার জনসভায় তিনি আরও বলেন, ‘আমার নামে পুলিশ মিথ্যে খুনের মামলা দিচ্ছে। কিন্তু ওরা জানে না আমি শুরু করলে ওদের বংশ লোপ পেয়ে যাবে।’
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার অভিযোগের মুখে পড়েও স্বভাব পরিবর্তনে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তিনি মনে করেন, এইরাজ্যে বিজেপি যে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে তার অন্যতম কারণ এই ধরনের কথা। স্পষ্ট বললেন, ‘এ ভাবে কথা না বললে বিজেপি বাড়ত না। আমার কথায় কর্মীরা ভরসা পায়। কে কী বলল আমার কিছু যায় আসে না। আমার কর্মীদের ভরসা দেওয়াটা আমার কাজ।’ এদিনের সভা থেকে তৃণমূল (TMC) ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দলীয়কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন, যদি তৃণমূল ও পুলিশকে মারেত না পারেন তাহলে আপনারা বিজেপির কর্মীই নন। এহেন বক্তব্যের জন্য বার বার পুলিশের খাতায় তাঁর নাম উঠেছে। তৃণমূলরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একবার দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানায় (Jorasanko Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন। যত অভিযোগই হোক না কেন তাঁর কাজ থেকে যে তাঁকে সরানো যাবে না। তা এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষের বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায়। আরও পড়ুন-Narendrapur Robbery Case: পুলিশ সেজে ডাকাতি নরেন্দ্রপুরের তরুণীর
এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের পর এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘উনি যে ভাবে উস্কানি দিচ্ছেন, তাতে কপাল ভাল উনি এখনও জেলের বাইরে আছেন!’ মেছেদার দলীয় সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, সেখানে ‘পুলিশ হোক টিএমসি হোক মারবেন ফেলে দেবেন দায়িত্ব আমার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। সব তেল খুলে নেব। সব ঘি ঝরে যাবে। চামড়া পাতলা করে দেব।’