Bangladeshi MP Anwarul Azim: ভারতে আসা বাংলাদেশি সাংসদ 'খুনে' রহস্য ঘণীভূত, গাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক দলের,দেখুন

রিপোর্টে প্রকাশ, আনওয়ারুল আজিম গত ১২ মে ভারতে আসেন। চিকিৎসা করাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর বন্ধুর বাড়িতে হাজির হন। বিধাননগরে নিজের বন্ধুর বাড়িতেই ১২ মে হাজির হন ঝিনাইদহের সাংসদ।

Bangladeshi MP's Death (Photo Credit: PTI/Twitter)

কলকাতা, ২২ মে: বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের (Anwarul Azim) মৃত্যুতে রহস্য ঘণীভূত হতে শুরু করেছে। ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে কীভাবে দিল্লির উদ্দেশে বেরনোর পর বেপাত্তা হয়ে যান আওয়ামী লিগের সাংসদ, তা  নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। গত ১৮ মে থেকে আনওয়ারুল আজিম নিখোঁজ। ওই ঘটনার ৩ দিন পর অর্থাৎ বুধবার প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আনওয়ারুল আজিম নিখোঁজ নন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, সে বিষয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আনওয়ারুল আজিমের মৃত্যুর পর বুধবার একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেই গাড়ি পরীক্ষা করে দেখে ফরেন্সিক  টিম। প্রসঙ্গত ওই গাড়িতেই  বাংলাদেশি সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে খুন করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

আরও পড়ুন: Bangladeshi MP Anwarul Azim Missing: চিকিৎসা করাতে ভারতে, কলকাতা থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংসদ আনওয়ারুল আজিম, জোর তদন্ত

দেখুন ভিডিয়ো...

 

রিপোর্টে প্রকাশ, আনওয়ারুল আজিম গত ১২ মে ভারতে আসেন। চিকিৎসা করাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর বন্ধুর বাড়িতে হাজির হন। বিধাননগরে  নিজের বন্ধুর বাড়িতেই ১২ মে হাজির হন ঝিনাইদহের সাংসদ। বন্ধুর বাড়ি থেকে তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন বলে বের হন। তবে ১৩ মে থেকে আনওয়ারুলের সঙ্গে তাঁর বন্ধু আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান। শুধু ফোনের মেসেজে জানাতে থাকেন, তিনি দিল্লিতে যাচ্ছেন। ঢাকায় নিজের পরিবারকেও যে কথা মেসেজের মাধ্যমে জানান আনওয়ারুল, বন্ধুর নম্বরেও আসে সেই বার্তা।

বিষয়টি গোলমেলে আন্দাজ করে, আনওয়ারুল আজিমের বিধাননগরের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাংলাদেশি সাংসদের মেয়েকে জানান। পাশাপাশি বিধাননগর থানায় দায়ের করেন নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ। ১৬ মে আনওয়ারুল আজিম তাঁর সহকারীকে ফোন করেন। তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়। ফলে ওই সময় ফোনের ওপার থেকে কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বলে খবর।  এরপর সাংসদের সহকারী ফের তাঁকে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, মোবাইল সংযোগ কেটে যায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে জানানো হয়।

আনওয়ারুল হোসেনের মোবাইল থেকে যে মেসেজগুলি তাঁর পরিবারের কাছে যায়, সেগুলি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সাংসদের মেয়ে জানান। বিষয়টি নিয়ে এসটিএফ খোঁজ শুরু করে বলে খবর।

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের তরফেও জোরদার খোঁজ শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তদন্ত শুরুর পর সামনে আসে আনওয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, সে বিষয়ে জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে।