মমতা ব্যানার্জি। ফাইল ছবি ( Photo credit-PTI)

কলকাতা, ২৪মে: লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Eelections 2019) ফল ঘোষণার পরই রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। এক ধাক্কায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMc)-র আধ ডজন আসন কমা, দেশজুড়ে বৃদ্ধির সঙ্গে রাজ্যে বিজেপি (BJP)-র ১৮টি লোকসভা আসনে জয়, সিপিএম (CPM)-এর ভোট ব্যাঙ্কের প্রায় সবটাই মোদীর দলে চলে যাওয়া- সব মিলিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ। গতকাল বিজেপি-র দারুণ ফল করার পর মমতা ব্যানার্জি শুধু একটা টুইট করেন। সারাদিন কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। দলের নেতাদের সঙ্গেও সেভাবে কথা বলেননি। অথচ ফলাফল যদি তাঁর আন্দাজের সঙ্গে মিলে যেত মমতাকে আজ, শুক্রবারই হয়তো তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিনটা কাটাতে হত।

কিন্তু, কোথায় কী! দেশজুড়ে বিজেপি-র ৩০২টি আসনে জয়, রাজ্যে ১৮টা আসন লাভের খবরে হতাশ মমতা আজ নিজেকে কিছুটা সরিয়েই রাখলেন। তবে দুপুরের দিকে ঘোষণা করলেন দলীয় কর্মীদের জন্য বড় খবর। আগামিকাল, শনিবার কালিঘাটে নিজের বাড়িতে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

কাল, বিকেল ৪টে থেকে হতে চলা এই বৈঠকে দলীয় নেতাদের কড়া কথা শোনাতে পারেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে কার্যত মুছে গিয়েছে দল। জঙ্গলমহলে অবস্থা শোচনীয়, পাহাড়েও বড় হার। বর্ধমানে হাল খারাপ। খুব নিশ্চিত গড় হুগলী, নদিয়াতেও হারতে হয়েছে। মতুয়া ভোটও আসেনি। দলীয় কোন্দলের খবরও নেত্রীর কানে গিয়েছে। সব মিলিয়ে দিদির কাছে শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

গতবার লোকসভা ভোটের পর যেমন মলয় ঘটককে আসানসোলে হারের পর কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা। তবে এবার যেহেতু ১৮টা আসনে হার, হারের ব্যাপ্তিটা অনেক বড় তাই হয়তো সাস্তি নয়, কড়া ধমকেই ছাড় মিলতে পারে বলে তৃণমূল নেতাদের আশা। এই বৈঠকে মূলত লোকসবা ভোটের ময়নাতদন্তই হতে চলেছে। মমতার সবার আগে শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে, সিপিএমের ভোট বিজেপি-তে গেল কী করে! দলীয় নেতাদের সামনে ৪২ এ ৪২-এর টার্গেট দিয়েছিলেন। নেতারা ডাঁহা ফেল। অনেকেই মনে করেছেন দলীয় সংগঠন একেবারে ঢেলে সাজাবেন দিদি।