Vikram Lander in Sleep Mode: থামল বিক্রম, পেলোড নিষ্ক্রিয় করে প্রজ্ঞানের পাশেই ঘুমাতে গেল সে

সোমবার বিক্রমকে স্লিপ মোডে পাঠানোর আগে তাকে দিয়ে একটি 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' করে ইসরো। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে লাফ দিয়ে সে আগের জায়গা থেকে প্রায় ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরে দ্বিতীয়বার সফল অবতারণ করে। সেখান থেকে আবার ফিরে আসে চন্দ্রপৃষ্ঠে।

Moon Photos Clicked by Chandrayaan 3 (Photo Credit Twitter)

চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে কাজ করেছে বিক্রম ল্যান্ডার (Vikram Lander)। আপাতত এবার তারও বিশ্রামের পালা। আগেই ঘুমাতে গিয়েছিল রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। এবার তার পাশেই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল বিক্রম (Vikram Lander Set Into Sleep Mode)। সোমবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৮টায় তাকে 'স্লিপ মোডে' পাঠানো হয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেল থেকে জানাল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। বিক্রমের মধ্যে থাকা চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বা ChaSTE, লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি যন্ত্র বা ILSA, রম্ভা দ্বারা সংগৃহীত সমস্ত তথ্য় ইসরোর বিজ্ঞানীরা পেয়ে গিয়েছেন। নিজের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে এবার ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে সে।

ইসরোর তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, বিক্রমের মধ্যে থাকা পেলোডগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। কেবল ল্যান্ডার রিসিভারটি সজাগ থাকবে। পৃথিবীর ১৪ দিন মানে চাঁদের বুকে ১ দিন। সূর্যাস্ত থেকে ফের সূর্যোদয় হতে আরও ১৪ দিন (ভারতের হিসাবে) সময় লাগবে চাঁদে। চাঁদে রাত মানলে তাপমাত্রা মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে। চাঁদের বুকে সৌরশক্তি শেষ হয়ে গেলে এবং ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে বিক্রম প্রজ্ঞানের পাশে ঘুমিয়ে পড়বে। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ১৪ দিন পর অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো ফুটলে ফের সজাগ হবে প্রজ্ঞান এবং বিক্রম সৌরশক্তি চালিত চন্দ্রযানের দুই দূত। আর তা যদি না হয় তাহলে চিরকালের মত চাঁদের বুকেই থেকে যাবে তারা।

সোমবার বিক্রমকে স্লিপ মোডে পাঠানোর আগে তাকে দিয়ে একটি 'হপ এক্সপেরিমেন্ট' করে ইসরো। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে লাফ দিয়ে সে আগের জায়গা থেকে প্রায় ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরে দ্বিতীয়বার সফল অবতারণ করে। সেখান থেকে আবার ফিরে আসে চন্দ্রপৃষ্ঠে।  বিক্রককে (Vikram Lander) চাঁদের মাটি থেকে শূন্যে ওড়ানোর পিছনে ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ভিন্ন লক্ষ্য। ভবিষ্যতে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনা কিংবা চাঁদে মানব অবতারণের জন্যে এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইসরো বিজ্ঞানীরা।