IPL Auction 2025 Live

ICC World Cup 2019: প্রোটিয়াদের পর বধ অজিরা, চ্যাম্পিয়নের মতই খেলছে টিম ইন্ডিয়া-এবার সামনে কিউইরা

: বিশ্বকাপ ২০১৯ (ICC World Cup 2019)-এ একেবারে চ্যাম্পিয়নের মতই খেলছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্রিগেড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে শক্ত গাঁট অস্ট্রেলিয়া (Australia)-কে যেভাবে গতকাল, রবিবার হারাল ভারত তাতে কোহলিদের দেখে মনে হচ্ছে বিশ্বজয়ের শপথ নিয়েই তাঁরা রানীর দেশে এসেছেন।

অনবদ্য সেঞ্চুরি শিখর ধাওয়ানের। ((Photo Credits: Getty Images)

লন্ডন, ১০ জুন: বিশ্বকাপ ২০১৯ (ICC World Cup 2019)-এ একেবারে চ্যাম্পিয়নের মতই খেলছে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্রিগেড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে শক্ত গাঁট অস্ট্রেলিয়া (Australia)-কে যেভাবে গতকাল, রবিবার হারাল ভারত তাতে কোহলিদের দেখে মনে হচ্ছে বিশ্বজয়ের শপথ নিয়েই তাঁরা রানীর দেশে এসেছেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই কোহলিরা অপ্রতিরোধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও টিম ইন্ডিয়া যে কায়দায় জিতল সেটা দেখে তাদের এখন থেকেই সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড আর ভারত সব কটা ম্যাচে জিতেছে। এবার বৃহস্পতিবার কোহলিদের তৃতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ সেই কিউই-রাই।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলিদের জয়টা ছিল এ কথায় একেবারে অনবদ্য। ওয়ানডে-তে কোনও দলের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো থাকলে সুলক্ষ্মণ বলে মনে করা হয় সেগুলির সবই ছিল টিম ইন্ডিয়ার অজি বধের মিশনে। সুলক্ষ্মণ- ১) ওপেনারদের দারুণ পার্টনারশিপ-যে কোন দলের ইনিংসের শুরুটা ভাল হওয়াটা চ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্মণ। গতকাল রোহিত-ধাওয়ান ওপেনিং পার্টনারশিপে গড়েন ১২৭ রান। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় খেলায় করলেন শিখর ধাওয়ান। দুই ওপেনারই যখন সেঞ্চুরি করেন তখন তার চেয়ে ভাল খবর আর হতে পারেন। ২) অধিনায়কের দারুণ ইনিংস- লিডিং ফ্রন্ট দ্য ফ্রন্ট। ক্রিকেটে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। কোহলি ৮২ রানের যে ইনিংসটা খেলেন তাতে চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যানের ছাপ ছিল। একবারে শেষ ওভার পর্যন্ত থেকে কোহলির ইনিংসে ছিল অধিনায়ক সুলভ দায়িত্ববোধের পরিচয়। ৩) চার নম্বরে নেমে হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যামিও- যে কোনও দলের কাছেই সবচেয়ে শুভ দিক হল ক্যামিও ইনিংস খেলা ক্রিকেটারটি ঝড় তুলবেন। গতকাল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার্দিক ঠিক সেটাই করলেন। লোকেশ রাহুলের জায়গায় চার নম্বরে নেমে হার্দিক ২৭ বলে ৪৮ রানের যে ইনিংসটি খেললে তা কোহলির হাসি চওড়া করবে।

৪) পাটা পিচে বড় রান রক্ষা করতে গিয়েও বোলারদের আত্মতুষ্টি না আসা- সাড়ে তিনশোর ওপর রান ডিফেন্ড করাটা মোটেও সহজ কাজ নয়। যেখানে প্রতিপক্ষ দলে ওয়ার্নার, স্মিথ, ম্যাক্সওয়েলদের মত ক্রিকেটাররা থাকেন, আর পিচেও বোলারদের জন্য কিছু থাকে না। তবু বুমরা, ভুবি-রা মাথা ঠান্ডা রেখে বেসিকটা ঠিকঠাক রাখলেন। ৫) প্রথম থেকেই ছন্দে থাকা- টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই ছন্দে থাকাটা খুব কাজে দেয়। রাউন্ড রবীন লিগে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম চারটে ম্যাচ খুব কঠিন। ক্রীড়াসূচিটা কোহলিদের কাছে কঠিন। কোহলিদের প্রথম চার ম্যাচের প্রতিপক্ষ হল- দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান। শুরু থেকেই ছন্দ না পেলে খুব কঠিন হত কোহলিদের কাজটা। কিন্তু প্রথম দুটো বড় ম্যাচে দারুণ জয় পেয়ে ছন্দে কোহলিরা। এবার এই দারুণ ফর্মটা ধরে রাখার কাজটা করতে হবে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের।

গতবার বিশ্বকাপেও শুরুটা দারুণ করেছিল ভারত। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপে ধোনির নেতৃত্বে ভারত লিগের খেলায় ৬টা ম্যাচের ৬টাতেই জিতেছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালে একেবারে খারাপভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। এবারও শুরুটা ভাল হয়েছে। দু একটা বিষয় ছাড়া কোহলিদের সব কিছু ঠিকঠাক হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার কিউইদের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে কোহলিদের জন্য। এই নিউজিল্যান্ডের কাছেই ওয়ার্ম আপে খারাপভাবে হেরেছিল ভারত। কিউইরা এখন পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলছে। কোহলিদের দারুণ শুরুটা বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে চ্যাম্পিয়নরা হারতে জানে না, চ্যাম্পিয়নদের খারাপ দিন আসে না।