এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) আজ রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদকে চাকরির বিনিময়ে জমি সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। পাটনায় ইডি-র আঞ্চলিক অফিসে তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বলা হয়েছে।

গতকাল তার স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব সংস্থার তদন্ত দলের আধিকারিকদের সামনে হাজির হন। দুজনকেই আলাদা ঘরে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরজেডি সুপ্রিমোর পরিবারের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য, যাদের মধ্যে ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব এবং মেয়ে হেমাও রয়েছেন, তাদেরও  নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে প্রশ্ন তোলার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। দলের প্রবীণ নেতা শক্তি সিং যাদব অভিযোগ করেছেন যে বিহার বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এটি একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিহিংসা্র কারণে করা হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে বিরোধী জোট থেকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হওয়ায় দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।

চাকরি কেলেঙ্কারির মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজিরা দিতে আরজেডি সভাপতি লালু যাদব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে পৌঁছেছেন।দেখুন সেই ছবি-

আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ অতীতে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলের গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিহারের বহু তরুণকে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে ইডি এবং সিবিআই— দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে।এই মামলায় অতীতে একাধিক বার লালু ও তেজস্বীকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানও চলেছিল।

(টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না।)