রুটি নুন খাচ্ছে পড়ুয়ারা, উত্তর প্রদেশের স্কুলের মিড-ডে মিলের মেনু ভাইরাল
এই সেই ছবি(Photo Credit: Twitter)

মির্যাপুর, ২৩ আগস্ট: পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বাণী মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ের পর এবার উত্তর প্রদেশের মির্যাপুর জেলার এক স্কুল। মিড-ডে মিলের মেনুতে নুন দিয়ে রুটি খাচ্ছে পড়ুয়ারা। মিড-ডে মিলের খাবার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকদিন থেকেই উঠছিল, এবার হাতেনাতে পাওয়া গেল প্রমাণ। একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ছাত্রীরা মিড-ডে মিলে নুনের সঙ্গে রুটি খাচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের টিচার ইন চার্জ ও এলাকার পঞ্চায়েতের সুপার ভাইজারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক অনুরাগ পটেল জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলের খাবারের জন্য সরকারি বরাদ্দ সময়মতোই স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে পৌঁছে যায়। তারপরেও যদি ছাত্রীদের খাবারে কোনওরকম গাফিলতি ধরা পড়ে তবে তার দায় স্কুলের দায়িত্ব যাঁর হাতে থাকে তাঁর। এক্ষেত্রে ওই স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও এলাকার সুপার ভাইজার এদের দুর্নীতিতেই এসব ঘটেছে। তাই দুজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও পড়ুন-পিসতুতো দাদার সঙ্গে গোপনে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া নাবালিকাকে অমানবিক মারধর বৃদ্ধের (দেখুন গা শিউড়ে ওঠা ভিডিও)

উল্লেখ্য, মিড ডে মিলে শিশুদের কী খেতে দেওয়া হবে তা উত্তরপ্রদেশের মিড ডে মিল অথরিটির ওয়েব সাইটে বিস্তারিত দেওয়া আছে। তাতে আছে, রোজ রুটির সঙ্গে দেওয়া হবে ডাল ও সবজি। সপ্তাহের একাধিক দিন দেওয়া হবে ফল ও দুধ। কিন্তু এক ছাত্রীর বাবা বলেছেন, সরকার পরিচালিত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কখনই রুটির সঙ্গে অত কিছু দেওয়া হয় না। এখন তো অবস্থা আরও খারাপ। রুটির সঙ্গে শুধু নুন দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝে স্কুলে দুধ এলেও তা কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় না। মাঝে মাঝে কলা দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর ধরে এমন দুর্নীতি চলছে। কয়েকদিন আগে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়ার বাণী মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল মেনু দেখে চমকে উঠেছিলেনষ পড়ুয়ারা দুপুরে নুন ভাত খাচ্ছিল। ডিমের জন্য বরাদ্দ ২৫ হাজার টাকার নাকি হদিশ নেই। আড়াইশো বস্তা চাল উধাও। এরপরই সরকার তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নিলে এই স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের মেনু বদলে যায়। তবে এই দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সাংসদ।