জলবায়ুর পরিবর্তন তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে, রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল
বর্তমানে তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতার পেছনে অন্যতম কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভয়ানক প্রভাব ফেলছে জলবায়ুর এই পরিবর্তন।
মানব জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার তরুণ প্রজন্ম। তরুণ প্রজন্মের মাঝেই সুপ্ত রয়েছে দিন বদলের বীজ। সুস্থ এবং স্বাভাবিক পরিবেশে সেই বীজ যথাযথভাবে অঙ্কুরিত হওয়ার সুযোগ পেলেই বিকশিত হবে একটি জাতি, একটি দেশ। কিন্তু বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকহারে আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিচ্ছে। প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এই ঝরে পড়া কেবল তার অভিভাবকই নয়, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের জন্য উৎকণ্ঠার।
বর্তমানে তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতার পেছনে অন্যতম কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (Climate Change Conference) সমীক্ষা বলছে, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তাকে ইন্ধন জোগাচ্ছে। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভয়ানক প্রভাব ফেলছে জলবায়ুর এই পরিবর্তন।
রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত ২৯'তম জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন (Climate Change Conference) গত ১১ নভেম্বর শুরু হয়েছে আজারবাইজানের বাকুতে। ২২ নভেম্বর এই সম্মেলন শেষ হবে ৷ ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে শুরু করে গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্ষতিকারক প্রভাব সমস্ত কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে এখানে। জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের পরিবেশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসে 12-24 বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা অনেক বেশি দেখা গিয়েছে। প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাওয়া সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেই বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৩ শতাংশ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন যত বাড়ছে দেশের তরুণ সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তার ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। যার তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাকে ইন্ধন জোগাচ্ছে।