প্রতিটি বাড়িতেই ব্যবহার করা হয় লেবু। সাধারণত আমরা লেবু ব্যবহার করে তার খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। তবে লেবুর রসের যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনই লেবুর খোসায় রয়েছে জাদুকরী গুণ। লেবুর খোসায় পাওয়া যায় অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য যৌগ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। এমনকি লেবুর খোসায় পাওয়া গেছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। জানা গেছে, মাত্র এক চামচ লেবুর খোসা ৩ ক্যালরি শক্তির জোগান দিতে পারে। এছাড়া লেবুর খোসায় রয়েছে ১ গ্রাম ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট এবং ৯ শতাংশ ভিটামিন সি।
- লেবুর খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। লেবুর খোসা গুড়ো করে মুখে লাগালে ত্বক ভালো থাকে।
- লেবুর খোসার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের থাকায় এটির ব্যবহারে মুখের ঘা বা ক্ষত খুব দ্রুত সেরে যায়। পাশাপাশি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস সংক্রান্ত ইনফেকশন থাকলে তাও সেরে যায়।
- লেবুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লেবুর খোসা।
- লেবুর খোসা খেলে রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এটি স্বাভাবিক কোষকে ক্যান্সার কোষে পরিণত হতে বাধা দেয়।
- লেবুর খোসায় চর্বি না থাকায় এটি রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। লেবুর খোসা কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক।
- লেবুর খোসা খেলে নিরাময় হয় পিত্তথলির পাথর। এতে উপস্থিত ডি-লিমোনিনের ফলে পিত্তথলির পাথর তরলে রূপান্তরিত হতে শুরু করে।