Kali Puja 2019: ১৪ শাক কেন খাওয়া হয় জানেন?
পঞ্জিকা মতে আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে কালীপূজা (Kali Puja) অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর আগের রাতটিকে বলা হয় 'ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi)।' বলা হয় এই দিন মৃত পূর্ব-পুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে ও অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে নানান আচার পালন করতে হয়। চৌদ্দ প্রদীপ (14 Lamp) জ্বালিয়ে চৌদ্দ পুরুষের আত্মাকে তুষ্ট করে অশুভ শক্তিকে দূর করার প্রথা পালন করা হয় বলেও এই দিনটাকে 'ভূত চতুর্দশী' বলে। এছাড়া এই দিন ১৪ রকমের শাক (14 Shak) খাওয়ারও নিয়ম পালন করতে হয়। কালী পুজো সমাগত। আগামী শনিবার 'ভূত চতুর্দশী।' চলুন জেনে নেওয়া নেওয়া যাক কেন খাওয়া হয় এই ১৪ শাক?
পঞ্জিকা মতে আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে কালীপূজা (Kali Puja) অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর আগের রাতটিকে বলা হয় 'ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi)।' বলা হয় এই দিন মৃত পূর্ব-পুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে ও অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে নানান আচার পালন করতে হয়। চৌদ্দ প্রদীপ (14 Lamp) জ্বালিয়ে চৌদ্দ পুরুষের আত্মাকে তুষ্ট করে অশুভ শক্তিকে দূর করার প্রথা পালন করা হয় বলেও এই দিনটাকে 'ভূত চতুর্দশী' বলে। এছাড়া এই দিন ১৪ রকমের শাক (14 Shak) খাওয়ারও নিয়ম পালন করতে হয়। কালী পুজো সমাগত। আগামী শনিবার 'ভূত চতুর্দশী।' চলুন জেনে নেওয়া নেওয়া যাক কেন খাওয়া হয় এই ১৪ শাক?
শাস্ত্রমতে, উপরোক্ত নিয়ম পালন করার নিয়ম থাকলেও, তবে বিজ্ঞান বলছে একসঙ্গে অনেকগুলি প্রদীপ জ্বালিয়ে ক্ষতিকারক কীটের (Insect) হাত থেকে হৈমন্তিক ফসল রক্ষা করতেই কৃষিজীবী বঙ্গবাসী (West Bengal) ১৪ শাকের উপাচার পালন করে থাকেন। ভেষজ বিজ্ঞানীদের মতে, এই মরশুম ঋতু পরিবর্তনের মরশুম। তাই এই সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে এই শাকগুলি খাওয়া হয়ে থাকে। বাংলার ঋতুর প্রকোপ অন্য প্রদেশের থেকে অনেক বেশি হওয়ায় আশ্বিন ও কার্ত্তিক এই দুটি মাসকে 'যমদংস্টা' কাল বলা হয়ে থাকে। যে সময় এই শাকগুলি খেলে রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ মতে প্রাচীন বাংলায় এই চোদ্দো শাকগুলি ছিল- সুষণি শাক, সরষে শাক, হিঞ্চে শাক,ওল, কেও, বেতো, কালকাসুন্দা, নিম, সরিষা, শালিঞ্চা বা শাঞ্চে, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পটুক পত্র বা পলতা, ভন্টাকি (ঘেঁটু) বা ভাঁট, এবং শেলু বা শুলকা। বাংলার নব্য স্মৃতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দনের অষ্টবিংশতি তত্ত্বের “কৃত্যতত্ত্বে” এই সময়কালকে উল্লেখ করে “নিৰ্ণয়া-মৃতের” অনুযায়ী বলা হয়েছে-
"ওলং কেমুকবাস্তূকং, সার্ষপং নিম্বং জয়াং।
শালিঞ্চীং হিলমোচিকাঞ্চ পটুকং শেলুকং গুড়ূচীন্তথা।
ভণ্টাকীং সুনিষন্নকং শিবদিনে খাদন্তি যে মানবাঃ,
প্রেতত্বং ন চ যান্তি কার্ত্তিকদিনে কৃষ্ণে চ ভূতে তিথৌ।"
আরও পড়ুন: Kali Puja 2019: দেবী পান করেন না; তবুও পুজোর নৈবেদ্যে কেন রাখা হয় মদ, জানেন?
এই ১৪ শাকের রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে নিন-
ওল- অর্শ, রক্ত আমাশা, বাত, চর্মরোগ, গ্যাস-অম্বল নাশক।
কেও- কৃমিনাশক, হজমকারক, ক্ষুধাবর্ধক।
বেতো- কৃমিনাশক, কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্বল প্রতিরোধক।
কালকাসুন্দা- অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, ফিসচুলা, হুপিং কাশি, দাদ ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
নিম- কুষ্ঠ, যে কোন চর্মরোগ, জণ্ডিস, বহুমূত্র, একজিমার ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
সরিষা- মানব দেহের চামড়া, যকৃত এবং চোখের পক্ষে এই শাক অত্যন্ত উপকারি।
শালিঞ্চা বা শাঞ্চে- সাধারণতঃ ক্ষুধাবর্ধক হিসাবে পরিচিত; এদের ব্যবহারে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
জয়ন্তী- উদরাময়, বহুমূত্র, শ্বেতী , জ্বর এবং কৃমি নাশকের কাজ করে। সদ্য প্রসূতিদের জন্যও এই শাক উপকারী।
গুলঞ্চ- এই শাক সেবনে বাত, রক্তচাপ, একজিমা ও জন্ডিস নির্মূল হয়। তাছাড়া গুলঞ্চ শাক পরিপাকেও সাহায্য করে।
পটুক পত্র বা পলতা- এই শাক যে কোন শ্বাসের রোগে কার্যকরী। এরা রক্তবর্ধক এবং লিভার ও চামড়ার রোগ সরাতে এদের প্রভূতভাবে ব্যবহার করা হয়।
ভন্টাকি (ঘেঁটু) বা ভাঁট- ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার জন্য এটি ক্যানসার দমনে সহায়ক। এছাড়াও কৃমি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে এই শাক সাহায্য করে।
হিলমোচিকা বা হিঞ্চে- এই শাক ভক্ষণে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। শুধুমাত্র পিত্তনাশক হিসাবেই নয়, রক্তশোধক হিসাবে, ক্ষুধাবর্ধক এবং জ্বর নির্মূলকারী হিসাবে এর ব্যবহার অপরিসীম।
সুনিষন্নক বা শুষুনী বা শুষনি- শুষনি শাক স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এরা নিদ্রাকারক, মেধা এবং স্মৃতিবর্ধক। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক অস্থিরতা কমানোর জন্য এই শাক ব্যবহৃত হয়।
শেলু বা শুলকা- এদের ব্যবহারে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতে এবং ছোটদের পেটের রোগ সারাতে এই শাক অত্যন্ত উপকারি।
১৪ শাক ধোয়ার জন্য যে জল (Water) ব্যবহার করা হয়, তা ছিটিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির অন্ধকার কোণগুলোতে। দুপুরে ১৪ শাক ভাজা খেয়ে, সন্ধ্যায় ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে, দরজায় ১৪ ফোঁটা দেওয়ার এই রেওয়াজ বহুদিনের।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)