Durga Puja 2019: সাত সমুদ্রের জলে স্নাত হন মা, কৈলাসের মাটি দিয়ে এই পুজোয় তৈরি হয় মাতৃ প্রতিমা

দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। রাজ্য জুড়ে কোথাও থিম পুজর হিড়িক তো কোথাও বনেদীয়ানার ঠাস বুনন। কিন্তু এখানে দুর্গাপুজোর জন্য শাস্ত্রে বর্ণিত নিয়মবিধিই অন্যতম আকর্ষণ। শাস্ত্রে বর্ণিত দুর্গা পুজোয় প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ উপকরণই আজকের দিনে জোগাড় করে উঠতে পারেন না পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ সেগুলি দুঃসাধ্য। আর এই সীমাবদ্ধতাকেই পুজোর আকর্ষণ হিসেবে খুঁজে নেওয়া হয়েছে ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘে।

ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের দুর্গা পুজো (Photo Credit : Samir Brahmachari Biswa sebashram sangha)

নিউ বারাকপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। রাজ্য জুড়ে কোথাও থিম পুজর হিড়িক তো কোথাও বনেদীয়ানার ঠাস বুনন। কিন্তু এখানে দুর্গাপুজোর জন্য শাস্ত্রে বর্ণিত নিয়মবিধিই অন্যতম আকর্ষণ। শাস্ত্রে বর্ণিত দুর্গা পুজোয় প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ উপকরণই আজকের দিনে জোগাড় করে উঠতে পারেন না পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ সেগুলি দুঃসাধ্য। আর এই সীমাবদ্ধতাকেই পুজোর আকর্ষণ হিসেবে খুঁজে নেওয়া হয়েছে ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘে। উত্তর ২৪ পরগণার নিউ বারাকপুরের দক্ষিণ কোদালিয়ার এই পুজোয় মায়ের মহাস্নান হয় কৈলাসের গৌরীকুণ্ডের জলে। প্রতিমা নির্মিত হয় কৈলাস ও মানস সরোবরের মাটিতে। আশ্রমের সদস্য শ্রী অমিতানন্দ ব্রহ্মচারী লেটেস্টলি বাংলাকে জানালেন এমনটাই।

শাস্ত্রে আছে, সপ্ত নদীর জল আহ্বান করে পুজো করতে হয়। গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু, কাবেরী এই সপ্ত নদ-নদীর জল প্রয়োজন হয়। তা নিষ্ঠা মেনে ব্যবহার করা হয় এই পুজোয়। আর সবচেয়ে যা উল্লেখযোগ্য তা হল পুরাণ মতে কৈলাসের গৌরীকুণ্ডের জলে মা রোজ স্নান করেন বলে শোনা যায়। বাপেরবাড়ি এসে সেই জলেই মাকে স্নান করানোর রেওয়াজ আছে এই পুজোয়। ৩৫ বছরের পুজোতে ৫ বছর ধরে পালন করা হচ্ছে এই রেওয়াজ। এছাড়াও মায়ের স্নানে ব্যবহার করা হয় - মন্দাকিনী, সহস্রধারা, চন্দন, ঝর্না, সোনা, রুপো, পদ্মরেণু সহ ১৫০টিরও বেশি তীর্থস্থানের জল। আশ্রমের ব্রহ্ম সরোবরে সারা বছর এই জল সংরক্ষণ করে রাখা হয়। তাছাড়াও ১৫ রকমের মাটি ব্যবহৃত হয় স্নানের জলে। আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: ঘোড়ায় চড়ে আগমন ও গমন দেবীর, এর মানে কি জানেন!

এছাড়া মায়ের প্রতিমা নির্মাণে ব্যবহৃত হয় ৭ রাজবাড়ির মাটি। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী নিজের হাতে প্রতি বছর মায়ের মূর্তি তৈরি করেন।