Eডিমের নানা পদ। চটজলদি রান্নার জন্য ডিম সেরা। হাতের কাছে যখন কিছুই পাওয়া যায় না রান্নার জন্য তখন ডিম মুস্কিল আসান। ডিম ভাজা, সেদ্ধ ডিম, ভাপা ডিম, ডিম কারি। ভাতের সাথে কোন একটা হলেই হল। আবার ব্রেকফাস্টে ডিম সিদ্ধ দারুন উপকারি। তবে বেশি ডিম খেলে অনেক সমস্যা হতে পারে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এবার জেনে নিন ডিম একদিনে কতগুলো খাওয়া নিরাপদ।

একটি বড় ডিমের মধ্যে রয়েছে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। যা ৩০০ মিলিগ্রামের দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী খাবারের অর্ধেকের বেশি। প্রতিদিন একটা ডিম খাওয়া কোন সমস্যা হয় না। খুব বেশি হলে জোড়া ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি ডিম খেলে লিভারে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে পারে।

ডিম অতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। হজমের সমস্যা, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, এবং অ্যালার্জি।

অরিক্ত ডিম খাওয়া মানে শরীরে বেশি প্রোটিন যাওয়া। কোন কিছুই অতিরিক্ত শরীরে ক্ষতির কারণ হয়। অতিরিক্ত ডিম খেলে হজমের সমস্যা হয়। পেটব্যথা, গ্যাস, বা বদহজম হতে পারে।

ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল থাকে। ফলে অতিরিক্ত ডিম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই অতিরিক্ত ডিম নয়।

যাদের এলার্জির সমস্যা তাদের ডিম বেশি না খাওয়াই ভালো। এলার্জি হলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চোখ লাল হওয়া, বা মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা করতে পারে ডিম বেশি খেলে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তবে যারা ব্যয়াম করেন, খেলাধুলা করেন, পরিশ্রমের কাজ করেন তাদের জন্য ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। ১-২ টি ডিম খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তারা ডিমের কুসুম খাবেন না।