Briyani History Photo Credit Pixabay

কলকাতা : বলা হয়ে থাকে খাবার শুধু পেটে নয় মনের উপরও দারুণ প্রভাব ফেলে, সম্ভবত সে কারণেই মানুষ তাদের প্রিয় খাবারকে আবেগ বলে। আমরা যা কিছু খাই তার একটি আলাদা রঙ, রূপ এবং স্বাদ রয়েছে, পাশাপাশি এর নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। এমনই একটি খাবার হল বিরিয়ানি। আজ এই বিরিয়ানির ইতিহাস (Biriyani History) জেনে নেওয়া যাক।

ভারত অনেক আক্রমণকারী প্রবেশ করেছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে  ভিন্ন সংস্কৃতি এবং নতুন নতুন খাবার। তুর্কি, আরব, পারস্য এবং আফগানদের মতো মুসলিম আক্রমণকারীরা ভারতে ভোজের সংস্কৃতি চালু করেছিল। ভারত যে মুঘলাই রন্ধনপ্রণালীর জন্য বিখ্যাত তা ১৫ শতক থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত মুঘলদের শাসনামলে তৈরি হয়েছিল। মুঘলরা রান্নাকে একটি শিল্পের রূপ দিয়েছিল। মুঘলদের থেকে ভারত বিরিয়ানি, পিলাফ এবং কাবাবের মতো অনেক সুস্বাদু খাবার পেয়েছিল।

বিরিয়ানি শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?

‘বিরিয়ানি’ শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দ ‘বিরিয়ান’ থেকে যার অর্থ ‘রান্না করার আগে ভাজা’।

কেউ কেউ বলেন যে বিরিয়ানির উৎপত্তি ইরানে। এই সুস্বাদু খাবারটি সম্পর্কে একটি মজার গল্প রয়েছে, বলা হয়  এটি শাহজাহানের রানী মমতাজের থেকে (১৫৯৩-১৬৩১) উদ্ভূত হয়েছিল। কথিত আছে যে তিনি একবার সেনা ব্যারাকে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে দেখেন সৈন্যরা অপুষ্টিতে ভুগছেন। মমতাজ মুঘল বাবুর্চিকে সেনাবাহিনীর জন্য ভাত, মাংস, মশলা সহযোগে এক সুস্বাদু খাবার তৈরির নির্দেশ দিন। যেমন নির্দেশ, তেমন কাজ। সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে গিয়ে রাঁধুনি যেটা বানিয়ে ফেললেন সেটা আজকের বিরিয়ানির চেহারা নিল।তারপরেই সম্ভবত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল বিরিয়ানি।

আরেকটি গল্প কথিত আছে যে, ১৩৯৮ সালে তুর্কো-মঙ্গোল বিজয়ী তৈমুর ভারতে বিরিয়ানি নিয়ে এসেছিলেন। সেই সময় হায়দ্রাবাদের নিজাম এবং লখনউয়ের নবাবও এই খাবারটির প্রশংসা করেছিলেন বলে জানা যায়।

একই সঙ্গে আরেকটি গল্পও প্রচলিত আছে যে, ব্রিটিশরা যখন কলকাতায় নবাব ওয়াজিদ আলি শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করেন, তখন কলকাতা বিরিয়ানি তৈরি হয়।

বিরিয়ানি কত প্রকার?

বিরিয়ানির অনেক প্রকার রয়েছে এবং সবগুলোই সুস্বাদু।

মোগলাই বিরিয়ানি

লখনউই বিরিয়ানি

কলকাতা বিরিয়ানি

বোম্বে বিরিয়ানি

হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি

ব্যাঙ্গালুরু বিরিয়ানি

থ্যালাসেরি বিরিয়ানি