প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর গোটা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। সাক্ষরতার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর পালন করা হয় 'বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস'। দেশের মানুষ যত বেশি শিক্ষিত হবে, তত অগ্রগতি হবে দেশের। যেকোনও দেশের উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই শিক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং এই মৌলিক অধিকারের প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রতি বছর পালন করা শুরু হয় আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস।
১৯৬৬ সালে প্রথমবার পালন করা হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। সেই সময় পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষার মাত্রা ছিল খুবই নিম্ন। তাই প্রথমবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল গোটা বিশ্বের অনেক দেশ। মানুষকে সাক্ষর, সামাজিক এবং তাদের অধিকার জানার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
একজন শিক্ষিত ব্যক্তি নিজের জীবনকে উন্নত করার পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করার বিষয়েও সাহায্য করতে পারে। ভারতে সাক্ষরতার হার বিশ্বের সাক্ষরতার হার থেকে ৮৪ শতাংশ কম। ২০১১ সালে ভারতের মোট সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.৪ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮২.৩৭ শতাংশ এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৬৫.৭৯ শতাংশ৷ উভয়ের সাক্ষরতার পরিসংখ্যানের মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। দেশের সর্বোচ্চ সাক্ষর রাজ্য হল কেরালা এবং সবচেয়ে কম সাক্ষর রাজ্য হল বিহার।