International Condom Day 2020: পুরুষাঙ্গে কাপড় দিয়ে তৈরি কনডম রিবন দিয়ে বেঁধে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতেন ১৪ শতকের মানুষ
সাম্প্রতিককালে কনডম (Condom) ছাড়া চলা দায়। কারণটা আর নতুন করে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আজ ১২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক কনডম দিবসে (International Condom Day 2020) কনডমের একটা বিষয় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এখন আমরা যে কনডমগুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলো তৈরি হয় পলিআরথিন, পলিইসোথ্রিন কিংবা ল্যাম্ব ইনসেসটাইন থেকে। কিন্তু জানেন কি ১৪ শতকেও মানুষ কনডম ব্যবহার করতেন। আর সেই কনডম তৈরি হত আস্ত কাপড় থেকে (Men Used Cloth Made Condom On Penis)! সে যুগের মানুষ পুরুষাঙ্গে কাপড় দিয়ে তৈরি কনডম রিবন দিয়ে বেঁধে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতেন।
পূজা মণ্ডল, ১২ ফেব্রুয়ারি: সাম্প্রতিককালে কনডম (Condom) ছাড়া চলা দায়। কারণটা আর নতুন করে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আজ ১২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক কনডম দিবসে (International Condom Day 2020) কনডমের একটা বিষয় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এখন আমরা যে কনডমগুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলো তৈরি হয় পলিআরথিন, পলিইসোথ্রিন কিংবা ল্যাম্ব ইনসেসটাইন থেকে। কিন্তু জানেন কি ১৪ শতকেও মানুষ কনডম ব্যবহার করতেন। আর সেই কনডম তৈরি হত আস্ত কাপড় থেকে (Men Used Cloth Made Condom On Penis)! সে যুগের মানুষ পুরুষাঙ্গে কাপড় দিয়ে তৈরি কনডম রিবন দিয়ে বেঁধে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতেন।
এখন শোনা যায় কনডম পরে যৌন সঙ্গমে (Sex) লিপ্ত হলে মহিলারা বেশি সন্তুষ্ট হন না। সেক্ষেত্রে কনডম ছাড়াই নাকি তাঁদের আত্মতুষ্টি আসে। যে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করছেন তাঁর বীর্য যোনি (Vagina) থেকে বাইরে ফেলে দিয়ে কনডম ছাড়া যৌন ক্রীড়ায় মত্ত হতেই বেশি পছন্দ করেন তাঁরা। কিন্তু একবার ভাবুন যখন এত উন্নতমানের কনডম প্রস্তুত হয়নি তখন কিভাবে কাপড় নির্মিত কনডম নিজের যোনির ভিতর নিতেন সে যুগের মহিলারা! ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালিতে গ্যাব্রিয়েলে ফ্যালোপিও সিফিলিস রোগের উপর একখানি গবেষণাগ্রন্থ রচনা করেন। তা থেকে জানা যায় ১৪৯০-এর দিকে সিফিলিস একটি ভয়ানক রোগের আকারে প্রকট হয়েছিল। রোগাক্রান্ত হওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু ঘটত। তাই যৌন নিরাপত্তায় একটি ক্ষৌমবস্ত্রনির্মিত খাপকে এক প্রকার বিশেষ রাসায়নিক দ্রবণে ডুবিয়ে রেখে সেটি শুকিয়ে নিয়ে যৌনক্রীড়াকালে ব্যবহার করা হত। ওই গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী ওই কাপড়টি কেবলমাত্র শিশ্নাগ্রভাগকেই ঢেকে রাখত। পুরুষ সেটি একটি রিবন দিয়ে বেঁধে ব্যবহার করতেন। ফ্যালোপিও দাবি করেন, ক্ষৌমবস্ত্রাকার খাপের একটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার ঘটিয়ে দেখেছেন যে এর মাধ্যমে সিফিলিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর পর থেকে সমগ্র ইউরোপে এই পুরুষাঙ্গ-আচ্ছাদনী রোগ প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। এদিকে চিনে শিশ্নাগ্র কনডম তৈরি হত তৈলনিষিক্ত রেশমি কাগজ বা ভেড়ার অন্ত্র দিয়ে। জাপানে কনডম তৈরি হত কচ্ছপের খোল বা জন্তুর শিং দিয়ে। আরও পড়ুন: Valentine's Day 2020 Fashion: লাল-কালো নয়, ভ্যালেন্টাইনস ডে-র ফ্যাশন ট্রেন্ড বলছে এবার অন্য কথা
ক্ষৌমবস্ত্রের পাশাপাশি রেনেসাঁর (Renaissance) যুগে অন্ত্র ও মুত্রাশয় নির্মিত কনডমের ব্যবহারও প্রচলন লাভ করে। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ওলন্দাজ বনিকেরা "ভালো চামড়া" নির্মিত কনডম নিয়ে যায় জাপানে। ওই অঞ্চলে তার আগে শিং নির্মিত কনডম শুধুমাত্র শিশ্নাগ্রভাগকেই ঢাকত। কিন্তু এই সকল চামড়ার কনডমে সমগ্র পুরুষাঙ্গকে ঢাকার সুবিধা পাওয়া যেতে শুরু করল।