Govardhan Puja 2024: স্কন্দপুরাণে উল্লেখ রয়েছে গোবর্ধন পুজোর উপকারিতা, জেনে নিন বিস্তারিত...
হিন্দু ধর্মে গোবর্ধন পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দীপাবলির পরের দিন পালন করা হয় গোবর্ধন পুজো। ২০২৪ সালে গোবর্ধন পুজো পালন করা হবে ২ নভেম্বর, শনিবার। পঞ্জিকা অনুসারে, এই উৎসবটি কার্তিক শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে পড়ে। ২০২৪ সালে প্রতিপদ তিথি শুরু হবে ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ০৬:১৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ২ নভেম্বর রাত ০৮:২১ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে উদয়তিথি অনুযায়ী ২ নভেম্বর, শনিবার পালন করা হবে গোবর্ধন পুজো। গোবর্ধন পুজোর উৎসবটি ভগবান কৃষ্ণ, গোবর্ধন পর্বত এবং ইন্দ্রের সঙ্গে জড়িত।
ধর্মীয় কাহিনী অনুসারে, এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। গোবর্ধনের দিনে গোবর দিয়ে মা গাভী, গোবর্ধন পর্বত ও কৃষ্ণের শিশুরূপের পুজো করা হয়। গোবর্ধন পুজো সম্পর্কিত কাহিনি অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অহংকার ভেঙেছিলেন ইন্দ্রদেবের। ইন্দ্রদেব যখন ক্রুদ্ধ হয়ে ব্রজে প্রবল বর্ষণ করে, তখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁর কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে গোবর্ধন পর্বত তুলে রক্ষা করেন ব্রজবাসীদের। তখন থেকেই গোবর্ধন পর্বতের পুজোর প্রথা শুরু হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে গোবর্ধন পর্বত, শ্রী কৃষ্ণের শিশু রূপ বা শিশু গোপালের আকৃতি তৈরি করে পুজো করলে পরিবারে সুখ ও সম্পদ আসে। এছাড়াও এই দিনে অন্নকূট অর্থাৎ ৫৬ প্রকারের খাবার তৈরি করে ভগবানকে নিবেদন করা হয়। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে অন্নকূট তৈরি করলে মা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং বাড়িতে খাবারের অভাব হয় না। গোবর্ধন পুজোয় গোবর্ধন পর্বত ও গরুর পুজো করা হয়। স্কন্দপুরাণে গরুর পুজো থেকে পুণ্য লাভের বর্ণনা রয়েছে। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, গরুর পুজো ও গাভী দান করলে মৃত্যুভয় ও অনেক দোষ দূর হয়।