পার্লারের মতো বাড়িতে সাজতে চান, এভাবেই করুন মেকআপ
এভাবেই নিজেকে সাজিয়ে তুলুন।
মেকআপ (Makeup) নিয়ে মহিলামহলে চর্চা কখনওই শেষ হয় না। কারোর ন্যুড মেকআপ পছন্দ তো কারোর জমকালো. কেউ হালকা মেকআপেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এক কথায় মেকআপ মানেই সৌন্দর্যের মূল চাবিকাঠি। নাক চোখ আপনার যেমনই হোক না কেন, এই মেকআপই তাকে সুন্দর করে তোলে। যদি এমনিতেই সুন্দরী হন তো কথাই নেই। মেকআপে আপনার রূপ আরও খুলবে। তবে নিজের গায়ের রং, ব্যক্তিত্ব, পোশাক, কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন এসব বিবেচনা করেই মেকআপ বাছা উচিত। তবে যেমনই সাজুন না কেন বিউটি প্রোডাক্ট (Beauty Product) অবশ্যই নামী ব্র্যান্ডের হতে হবে। আরও পড়ুন-এই গরমে পা-কে দিন মোলায়েম অনুভূতি, কীভাবে?
যে মেকআপই করুন না কেন, একদম প্রথমেই হাতে নিতে হবে প্রাইমার। হাতের তালুতে অল্প প্রাইমার নিয়ে পুরো মুখে এবং গলায় ভালো করে লাগান। এমনভাবে লাগান যাতে মিশে যায় ত্বকের সঙ্গে। প্রাইমার এর কাজ হল পুরো মেকআপ-এর বেস গ্ৰাউন্ড তৈরি করা মেকআপ কে দীর্ঘস্থায়ী করতেও কিন্তু প্রাইমারই ভরসা। প্রফেশনালদের মতে, প্রাইমারের পর চোখের সাজটা সেরে ফেলা উচিত। এক্ষেত্রে প্রথমেই এঁকে নিতে হবে আইব্রো। ঠিকভাবে আইব্রোস এঁকে না নিলে আইশ্যাডো ব্লেন্ডিং-এ সমস্যা হতে পারে। বর্ডার লাইন স্পষ্ট হলে অনায়াসে লাগাতে পারবেন নিজের পছন্দের রঙের আইশ্যাডো। তবে আইশ্যাডোর রঙ যেন মানানসই হয় আপনার সেদিনের পোশাকের সঙ্গে, নয়তো কমে যাবে চোখের আকর্ষণ। পুরো মুখে এবং গলায় একইরকম শেড রাখতে ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। এটি কিন্তু বেস মেকআপ হিসাবেও কাজ করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল ফাউন্ডেশনের শেড চয়েস করা। অনেকেই ফর্সা দেখানোর জন্যই লাগিয়ে থাকেন খুব হালকা শেড যা সবসময় মানানসই হয় না । তাই নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই, এমন ফাউন্ডেশন বেছে নিন। সঠিক টোনের ফাউন্ডেশন আপনাকে করে তুলবে আত্মবিশ্বাসী আর উজ্জ্বল।
শেষে পালা ঠোঁটের। আই মেকআপ,ব্লাশার ইত্যাদির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাছুন লিপ কালার। তার আগে অবশ্যই এঁকে নিন লিপ লাইন। তাপর পছন্দের রঙে ঠোঁটকে রাঙিয়ে তুলুন। সব শেষে সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ বসিয়ে নিলেই আপনার সাজ সম্পূর্ণ।