নয়া দিল্লি, ৭ অগাস্ট: চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হল দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj)-কে। জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল সুষমা-র দেহ। প্রকৃত অর্থের তিনি ছিলেন জননেত্রী। বেশ কিছু জায়গায় তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমী নেত্রী। তাঁর পোশাক চয়নের ক্ষেত্রেও এক ব্যতিক্রমী জিনিস ধরা পরত। আজ তিনি বেঁচে থাকলে নিশ্চিতভাবেই সবুজ পোশাক পরতেন। কেন জানেন? এর পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।
সবুজ শাড়িতেই ২০১৪ সালে বিদেশমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সুষমা। আসলে নিজের পোশাক নিয়ে সুষমা একটা নিয়ম পালন করতেন। সপ্তাহের প্রতিটা দিন এক একটা আলাদা রঙের শাড়ি, ব্লাউজ, জ্যাকেট বা পোশাক পরতেন তিনি। যেমন, সোমবার তিনি পরতেন সাদা বা ক্রিম রঙের পোশাকে। লাল অথবা মেরুন রঙের পোশাকে তাঁকে দেখা যেত মঙ্গলবার। বুধবার সবুজ, বৃহস্পতিবার তিনি পরতেন হলুদ রঙের পোশাক। শুক্র ও শনিবার তিনি পরতেন যথাক্রমে বেগুনী এবং নীল রঙের পোশাক। আরও পড়ুন-শেষযাত্রায় সুষমা স্বরাজের দেহ বহন করলেন যে চার বিজেপি শীর্ষ নেতা
২০০৯ লোকসবায় মধ্যপ্রদেশের বিদিশা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতে আসার পর তিনি বলেছিলেন, এভাবে সপ্তাহের এক একটা দিনে এক এক রঙের পোশাক পরার কোনও সংস্কার বা জ্যোতিষ সংক্রান্ত কোনও কারণ নেই।
আসলে পোশাক বাছার তেমন সময় থাকে না বলেই এই নিয়মটা নিজের সঙ্গে চালু করে এমনটা করেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফরে সবুজ রঙের শাড়ি পরে যাওয়ায় সুষমাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। সুষমা স্বরাজের অত্যন্ত কাছের মানুষ, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া তার পাগড়ির ক্ষেত্রে সপ্তাহের এক একটা দিনে এমন রঙের ফারাক করে থাকেন।
গতকাল সুষমা AIIMS-এ ভর্তি হওয়ার পর আলুওয়ালিয়াই সবার আগে গিয়েছিলেন। সুষমার পোশাকের মত আলুওয়ালিয়াও এক একদিন এক রঙের পাগড়ি পড়েনও। সুষমার মত আলুওয়ালিয়াও বুধবার সবুজ রঙের পাগড়ি পড়ে থাকেন।