
চলতি বছরেই বিহারে (Bihar) নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও কবে, কখন অর্থাৎ ভোটের নির্ঘন্ট নির্বাচন কমিশন প্রকাশ্যে আনেনি। আশা করা যাচ্ছে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রাজ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে এই নির্বাচন নিয়ে কিন্তু এখন থেকেই গুটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানার মতো এবারে বিজেপির পাখির চোখ হরিয়ানা। জোট হিসেবে লড়লেও তাঁরা এবার চাইছে আসন সংখ্যায় যাতে জেডিইউ-কে ছাপিয়ে যেতে পারে বিজেপি। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও তাঁর দলের ওপর বিন্দুমা্ত্র ভরসা করতে পারছেন না মোদী-শাহরা। কারণ গত নির্বাচনের পর তিনি এতবার জোট বদেলেছেন, যে তাঁর ওপর কোনও ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপি। উল্টে লোক জননায়ক পার্টি (রামবিলাস)-র সুপ্রিমো চিরাগ পাসওয়ানের ওপর ভরসা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
নীতিশের ওপর ভরসা নেই কারোরই
সেই কারণে এলজিপি, হাম ও আরএলএমের ওপর বেশি ভরসা করতে চাইছে বিজেপি। আর সেই কারণে ধীরে ধীরে সাইডলাইন হয়ে যাচ্ছে জেডিইউ। কিন্তু এখন নীতিশ কুমারের এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে, না এনডিএ শিবিরে তিনি যোগ্য জায়গা পাবেন, না ইন্ডিয়া জোটে তাঁকে কেউ বিশ্বাস করবেন। এই অবস্থায় যদি এনডিএ শিবিরে জোটের মুখ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নীতিশ কুমারের বদলে অন্য কেউ হয়, তাহলেও অবাক হওয়ার বিষয় নেই। ফলে বর্তমানে এনডিএ শিবিরে এখন একটা ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।
জোটের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই, মন্তব্য তেজস্বী যাদবের
এই নিয়ে রবিবার কার্যত কটাক্ষের সুরেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) বলেন, “মহাজোটে তো কোনও সমস্যা নেই। কংগ্রেস এবং বাকি শরিক দল মিলে আমরা নিশ্চিত করব কে কটা আসনে লড়বে। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যাই হচ্ছে না। বিহারের মানুষ চাইছে সরকার বদল হোক। ভোটে জিতলে আমরা শুধু ক্ষমতায় আসব না, বরং বিহারকে পরিবর্তন করব। মহাজোট একসঙ্গে লড়বে, এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। আমাদের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে”।