আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি: আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা (Tripura)-য় বড় ধাক্কা খেলে বিজেপি। কংগ্রেস, তৃণমূলের বিদ্রোহী সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman) কে দলে টেনে ত্রিপুরায় পদ্ম ফুটিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। ত্রিপুরা রাজনীতির বড় নাম সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিকে রাজ্যে সিংহাসনে বসাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিজেপি ছাড়লেন সেই সুদীপ রায় বর্মন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার পাশাপাশি বিজেপির সদস্য পদও ছেড়েছেন সুদীপ। ত্রিপুরার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আগরতলার দীর্ঘ ২৪ বছরের বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনের ঘনিষ্ঠ আরও এক বিধায়ক আশীষ দাসও বিজেপি ছেড়েছেন।
আজই সুদীপ দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন। জোর জল্পনা তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর হাত থেকে পতাকা নিয়ে কংগ্রেসে ফিরবেন সুদীপ, এমনই জল্পনা। ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেসের প্রধান মুখ। আরও পড়ুন:
১ লাখের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, দেশে কোণঠাসা করোনা
অনেকেই সুদীপের সঙ্গে অসমে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা-র তুলনা করেন। সুদীপের মত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসে অসমে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন। প্রথমে হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী না করলেও গত বছর বিধানসভা ভোটের পর তাঁকে অসমের গদি দেওয়া হয়। তবে হিমন্তের মত এত সুচারু ও তীক্ষ্ম রাজনীতি করতে পারেননি সুদীপ।
সুদীপ বর্মনের বিজেপি ছাড়ায় ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণে বড় বদল হল। আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে। তার আগে সুদীপের বিজেপি ত্যাগ নয়া সমীকরণের জন্ম দিল। সিপিএম, কংগ্রেসের পাশাপাশি ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে এবার তৃণমূলও ঝাঁপিয়েছে।
১৯৯৮ সাল থেকে আগরতলার বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তারপর যান বিজেপিতে। এবার তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছেন। এতবার দল বদলালেও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও আম জনতার কাছে বেশ জনপ্রিয় সুদীপ এখনও ত্রিপুরা রাজনীতির বড় নির্ণায়ক। ২০১৮ ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে আগরতলা কেন্দ্র থেকে ৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় বিজেপি-র অন্দরেও ক্ষোভ বাড়ছে। ২০১৮ ত্রিপুরা বিধানসভা ব নির্ব াচনে ৩৬ন