চলতি মাসেই বাংলা ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে। আর এই নির্বাচনেও বিজেপি নেতৃত্বের ওপর নালিশ জানাতে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission of India) হাজির হল তৃণমূল নেতৃত্ব। আগে থেকেই কমিশনের দফতরে জানিয়ে ছিলেন একাধিক অভিযোগ নিয়ে ফুল বেঞ্চের দারস্থ হবেন সুস্মিতা দেবেরা। এইদিন সেই মতো সুস্মিতার নেতৃত্বে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, সাংসদ কৃতি আজাদ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নিয়ে কমিশনারদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করা হল না তৃণমূলের নেতৃত্বের। তাই লিখিত অভিযোগ জানালেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুস্মিতারা।

এদিন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে এসে সুস্মিতা বলেন, "২০০৩ সালে কমিশনের ডিপলয়মেন্ট আইন অনুযায়ী নির্বাচন যে এলাকাগুলিতে হবে সেখানে নিরাপত্তার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্সের সঙ্গে থাকবে একজন রাজ্য পুলিশের অফিসাররা। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের স্থানীয় ভাষা, ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক সমস্যায় যাতে না পড়েন সেইজন্য। কিন্তু উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। বরং যারা রয়েছেন তাঁরা বিজেপির নেতাকর্মী। বাহিনীদের নিয়ে গিয়ে লোকেদের কাছে দলের প্রচার করা হচ্ছে"।

অন্যদিকে, সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও নালিশ জানিয়েছে। আসলে ভোট প্রচারে গিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কাঁধে অশোকস্তম্ভের ব্যাচ খুলে চপ্পল লাগানোর কথা বলেছিলেন সুকান্ত। সেই কারণেই সুকান্তের বিরুদ্ধের কমিশনে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।