
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় (Air India Flight Crash) মরদেহ পরিবারে হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। গত শনিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। রবিবারের মধ্যে ২২ জনের ডেথ সার্টিফিকেট সহ মরদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মৃতদের মধ্যে গুজরাটের পাশাপাশি অনান্য রাজ্যেরও বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ারও কাজ করছে সিভিল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল।
দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
এদিন রাজ্যে জরুরি অবস্থা কমিশনার অলোক পান্ডে বলেন, আমরা ২৩০ যাত্রীর জন্য ২৩০ জনের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলাম। যাঁদের কাজ ছিল মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাঁদের থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য পাঠিয়েছিল। তারপর যখন পরিচয় মিলে যায়. তখন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ হস্তান্তরের পুরো প্রক্রিয়া এই টিমের সদস্যরা দেখছে। এমনকী তাঁদের হাসপাতালে আসা এবং সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য কোনও টাকা খরচ হবে না। সেই সঙ্গে তাঁরা যাতে ডেথ সার্টিফিকেট সঙ্গে সঙ্গে হাতে পেয়ে যান, সেই বিষয়টিও নজরে রাখা হয়েছে।
দেহ সংগ্রহের জন্য জারি নির্দেশিকা
কমিশনার আরও বলেন, এই দুর্ঘটনার কারণে মৃতদের পরিবার যাতে আর্থিক সহায়তা পান এবং যাঁদের বিমা করা ছিল, সেই টাকাও যেন দ্রুত পান, সেই বিষয়টিও দেখবে প্রতিনিধি দল। দেহ সংগ্রহের সময় পরিবারের যে সদস্যের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে, তাঁদেরকেও থাকতে হবে। একান্তই তাঁরা যদি না আসতে পারে, তাহলে পরিবারের অনান্য সদস্যকে পরিচয় পত্র নিয়ে দেহ সংগ্রহের জন্য আসতে হবে। এছাড়া যে সমস্ত বিদেশি যাত্রীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা আসবেন। তাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।