Surat: লাইন দিয়ে নগ্ন দাঁড় করিয়ে মেডিকেল চেক আপ মহিলা পৌরকর্মীদের
পিরিয়ড হয়েছে কি না তা জানতে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করেছিল গুজরাতের ভূজের একটি কলেজের হস্টেল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতা না কাটতেই আবারও একটি ঘটনা সামনে এল। তাও আবার সেই গুজরাতেই (Gujarat)। তবে এবার সুরাতে (Surat)। সেখানকার পৌর নিগমের মহিলা ট্রেইনি ক্লার্কদের মেডিকেল পরীক্ষার (medical test) জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল। এছাড়া কর্মীদের কুমারীত্ব বজায় রয়েছে কি না তা জানতে ফিঙ্গার টেস্ট (Finger test) করা হয়। মহিলা চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত প্রশ্নে জর্জরিত করেন পৌর কর্মীদের।
সুরাত, ২১ ফেব্রুয়ারি: পিরিয়ড হয়েছে কি না তা জানতে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করেছিল গুজরাতের ভূজের একটি কলেজের হস্টেল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতা না কাটতেই আবারও একটি ঘটনা সামনে এল। তাও আবার সেই গুজরাতেই (Gujarat)। তবে এবার সুরাতে (Surat)। সেখানকার পৌর নিগমের মহিলা ট্রেইনি ক্লার্কদের মেডিকেল পরীক্ষার (medical test) জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল। এছাড়া কর্মীদের কুমারীত্ব বজায় রয়েছে কি না তা জানতে ফিঙ্গার টেস্ট (Finger test) করা হয়। মহিলা চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত প্রশ্নে জর্জরিত করেন পৌর কর্মীদের।
গোটা ঘটনায় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাত মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। একজনের থেকে সে কথা জানতে পেরে এক কর্মী বলেন, "মহিলা কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে ১০জন করে ছিলেন। যেখানে তাঁদের গোপনীয়তা বলে কিছু ছিল না। দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। বাইরের লোক যাতে ভেতরের দৃশ্য দেখতে না-পারে সে জন্য শুধু একটি পর্দা টাঙানো ছিল।" এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের বিতর্কিত ফিঙ্গার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ। অবিবাহিত মহিলাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কোনও সময় গর্ভবতী হয়েছেন কি না। যে মহিলা ডাক্তাররা গায়নোলজিক্যাল টেস্ট নিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। আরও পড়ুন: Union Minister Giriraj Singh: ১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল: গিরিরাজ সিং
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ ফিটনেস টেস্ট হয়েছে। যেখানে চোখ, ENT, হার্ট ও ফুসফুসের পরীক্ষাসহ সার্বিক পরীক্ষা হয়। তিন বছর প্রবেশন পূর্ণ করার পর কনফারমেশন পেতে এই মেডিক্যাল টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। কর্মচারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এএ শেখ বলেছেন, "এই অভিযোগ শোনার পর অবিলম্বে এমন অমাবলিক পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। কোথাও মহিলা কর্মীদের এমন মেডিক্যাল টেস্ট দিতে হয় বলে শুনিনি।"