Delhi Air Pollution: দূষণ থেকে বাঁচতে আইনজীবীদের মাস্ক ব্যবহারের সার্কুলার জারি সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থা একেবারে বিপজ্জনক জায়গায় চলে গিয়েছে। ভয়ানক দূষণ থেকে বাঁচতে স্কুল বন্ধ করে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। বেশ কিছু বেসরকারী অফিসে চালু হয়েছে ঘর থেকে কাজ।

Delhi Air Pollution (Photo Credits: ANI)

দিল্লিতে বায়ুদূষণের (Delhi Air Pollution) অবস্থা একেবারে বিপজ্জনক জায়গায় চলে গিয়েছে। ভয়ানক দূষণ থেকে বাঁচতে স্কুল বন্ধ করে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। বেশ কিছু বেসরকারী অফিসে চালু হয়েছে ঘর থেকে কাজ। আর এবার খোদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে এল দূষণ থেকে বাঁচার অনুরোধের বার্তা। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করে আইনজীবী, মামলাকারী, আদালতের কাজে যুক্ত থাকা কর্মীদের শীর্ষ আদালত চত্বরে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন, দিল্লির দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সমস্ত স্কুলগুলোকে তাদের সকল পড়ুয়াদের (একেবারে ১২ পর্যন্ত) জন্যে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে (NCR) বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের একটি মামলায় সোমবার বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ এই রায় দেন।

এদিকে, দিল্লিতে মাস্ক কেনার হিড়িক লেগে গিয়েছে। এয়ার পিউরিফায়ারের চাহিদা তুঙ্গে উঠছে। দিল্লির দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়া মানে সারাদিনে ৪৯টিরও বেশি সিগারেট খাওয়ার সমান। এবার দিল্লির দূষণের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল কিছুতেই মাত্রা কমানো যাচ্ছে না। গত কয়েক বছর ক্রমশ কমতে থাকে বায়ুদূষণ। কিন্তু গত ৬দিন ধরে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা তো উন্নতি ঘটছেই না, বরং আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। দিল্লিতে বায়ুর সূচক (AQI) 'খারাপ' হলে গ্র্যাপ-১ চালু করা হয়। সে সময় রাস্তায় মাঝেমধ্যে জল ছেটানো হয়। আরও পড়ুন-বাতাসে বহিছে বিষ, ধুমপান হয়ে গেছে! দিল্লিতে শ্বাস নেওয়া মানে দিনে ৪৯টি সিগারেট খাওয়া\

আইনজীবী ও মামলাকারীদের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আস্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি। ভোরের পাশাপাশি গোটা দিন জুড়ে দিল্লিকে ঘিরে রেখেছে দূষণের চাদর। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বাড়ছে শ্বাসজনিত রোগ এবং রোগীর সংখ্যা। এই দূষণময় পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলোকে অনলাইনে ক্লাস করানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী (Atishi)। তিনি জানান, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বাদে সমস্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্যে বাড়িতে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।



@endif