
ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) জাঞ্জগির-চম্পা জেলায় পথ দুর্ঘটনায় আহত এক নাবালিকাকে অপহরণ করলেন এক দম্পতি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছিল বালোদা এলাকার বাছোদ গ্রামে। দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর নামে অপহরণ করেন গাড়ির চালক ও তাঁর স্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ কোনও হাসপাতালে তাঁর খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে নাকা চেকিং চলার সময় স্থানীয় এলাকা থেকে ঘাতক গাড়ি এবং চালককে আটক করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি কেন্দ্র সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। উদ্ধার করা হয় নাবালিকার মৃতদেহ। যদিও অভিযুক্তের স্ত্রী ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
দুর্ঘটনায় আহত নাবালিকা
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বছর সাতেকের ওই নাবালিকার পরিবার থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, এদিন বিকেলে একটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কায় আহত হয় তাঁদের মেয়ে। যদিও দুর্ঘটনার পর ওই গাড়ির চালক গাড়িটি থামিয়ে মানবিকভাবে মেয়েটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এবং তিনি জানান, গাড়িতে করেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাবেন। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করে গাড়িতে মেয়েটিকে তুলে দেন। এবং গাড়িতে ওই চালকের স্ত্রীও ছিলেন।
পলাতক অভিযুক্তের স্ত্রী
এদিকে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছালে দীর্ঘক্ষণ তাঁদের খোঁজ পায় না। তারপরেই পুলিশের দারস্থ হয় তাঁরা। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে মাঝপথেই মেয়েটির মৃত্যু হয়, তারপর গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দম্পতি গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল মুখো হননি। বরং গাড়িতে দেহ রেখেই আশেপাশের এলাকায় ঘুরতে থাকেন। এদিকে পুলিশ নাকা চেকিং শুরু করলে শুক্রবার সকালে অবশেষে গাড়িটি আটক করে পুলিশ। যদিও গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মেয়েটির মৃতদেহও। তবে তাঁর স্ত্রী ঘটনার পর থেকে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান।