গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পুরীতে রথযাত্রা। শনিবার রাতে গুন্ডিজা মন্দিরের সামনে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার রথ পৌঁছানোর পর রবিবার ভোরে ওই এলাকাতেই পদপিষ্টের (Puri Rath Yatra Stampede Case) ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ২ মহিলা এক বৃদ্ধ সহ মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জনের। দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের ওপরেই দোষ চাপাচ্ছেন পূণ্যার্থীরা। অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যেই পুরীর জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ দিয়েছেো রাজ্য সরকার। এছাড়া কর্তব্যের গাফিলতির জন্য ডিসিপি বিষ্ণু পতি এবং পুলিশ আধিকারিক অজয় পাধিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হয়েছিল
এই ঘটনায় কর্তব্যের গাফিলতি যে ছিল সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ হরিচন্দন। এবং দোষীদের উপযুক্ত সাজা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে আহতরা ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। যাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় মৃতরা হলেন প্রভাতী দাস, বাসন্তি সাহু এবং প্রেমকান্ত মোহান্তি। মৃতরা সকলেই ওড়িশার খুরদার বাসিন্দা।। রথযাত্রা দেখতেই তাঁরা পুরীতে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, এবছরে পুরীতে রেকর্ড সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়েছিল। বেসরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার লোক হয়েছিল কমপক্ষে ১৩ লক্ষ। ওইদিনও কমক্ষে ৫০০ জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। তবে এখনও ৫০-৬০ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপতালে।
পুরীতে পদপিষ্টের ঘটনা
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল রথযাত্রা। নিয়মমতো পুরীর মন্দির থেকে গুন্ডিজা মন্দিরে যাবে জগন্নাথদেবদের রথ। শ্রীমন্দির থেকে গুন্ডিজার পর্যন্ত দুরত্ব ৩ কিলোমিটার। কিন্তু এই দুরত্ব পেরোতেই সময় লেগে যাচ্ছে দুইদিনের বেশি। শনিবার রাতে মন্দিরের সামনে রথ গেলেও জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে নামানো যায়নি। আজ ভোরে সেটি হওয়ার কথা ছিল। এদিন মন্দির চত্বরে কমপক্ষে ৮ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। যার জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।