মোদি ও সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।(Photo Credits: PTI)

১৭মে, ২০১৯:‌ প্রজ্ঞাকে নিয়ে কিছুতেই যেন সামলে উঠতে পারছে না বিজেপি। প্রজ্ঞার একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে নাস্তানাবুদ মোদি, অমিত শাহ(Amit Shah)। শেষ দফা ভোটের ঠিক দু’‌দিন আগে প্রজ্ঞা যা বললেন তাতে একেবারে ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয়েছে বিজেপির। ড্যামেজ কন্ট্রোলে শেষে ময়দানে নামতে হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই।

গডসে বিতর্কে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। মোদি বলেছেন, ‘‘বাপুজিকে অপমান করার জন্য আমি কখনই সাধ্বী প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করতে পারব না।’’

যাঁকে প্রার্থী করে অত্যন্ত দম্ভের সঙ্গেই মোদি এক সময় জাহির করেছিলেন যে তিনি ন্যায় করেছেন। প্রজ্ঞাকে জেলে পাঠিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। মোদির সেই মন্তব্যের এক মাস কাটতে না কাটতেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে রাজনৈতিক মহল সরগরম করেছেন প্রজ্ঞা।

মোদির এই কড়া বার্তার আগেই অবশ্য ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা(Sadhvi Pragya Singh Thakur), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে (Anant kumar hegre)এবং কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ নলিন কুমার কাতিলকে (Nalin kumar Katil)তলব করে তাঁদের শো-কজ করেন অমিত শাহ। তিন দিনের মধ্যে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছ তাঁদের।

যদিও নাথুরাম গডসেকে (Nathuram Godse)নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ক্ষমা চেয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। বিতর্কিত টুইট মুছে দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে এবং কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ নলিন কুমার।

নাথুরাম গডসেকে নিয়ে প্রথম বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন মাকাল নিধি মাইয়াম (এমএনএম) প্রধান কমল হাসান(Kamal Hasan)। তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রথম হিন্দু সন্ত্রাসবাদী নাথুরাম গডসে। এর পরই বিজেপি নেতা-নেত্রীরা এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে গাঁধী হত্যাকারী গডসের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেন। এমনকি, গডসের চেয়েও রাজীব গাঁধী বড় ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও টুইটারে আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। আর সেই বিতর্ক আরও জোড়ালো করে তোলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। দলের সব নেতাদের ছাপিয়ে গিয়ে নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলে টুইট করেন।