৭ মে, ২০১৯: স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশই(Uttar pradesh) ঠিক করেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী। নেহরু (Neharu)থেকে মোদি (Modi)সকলেই উত্তর প্রদেশ থেকেই নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। এবারও উত্তর প্রদেশের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। কংগ্রেস, বিজেপি না সপা–বসপা (Sp-BSP)জোট কার ভাগ্যে ছিঁকে ছিঁড়বে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
বিধানসভা ভোটে (Assembly Election)কংগ্রেসের হার নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে বিজেপি (BJP)শাসনে উত্তর প্রদেশের জনমানসে খুব একটা ভাল প্রভাব পড়েনি। মোদির জনপ্রিয়তা যে কমেছে তা বুঝিয়ে গিয়েছে উপনির্বাচনের ফলাফল। সপা তার জমি ফিরে পেতে বসপার সঙ্গে ঐতিহাসিক জোট গড়েছে। কাজেই এবারের লোকসভা ভোটে এই জোট যে বিজেপির বড় অংশের ভোট ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হবে তা বলাই বাহুল্য।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির এই পয়েন্ট কমার পিছনে রয়েছে মোদির একাধিক মিথ্যে কথা। গত লোকসভা ভোটে মোদি সকলের অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তা পূরণ তো করেনই নি উল্টে রাজনাথ সিং পুরোটাই অস্বীকার করে গিয়েছিলেন। এএনআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বলেছেন ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতিই তিনি দেননি।
এর সঙ্গে জোড়া ফলা হিসেবে যোগ হয়েছে মোদি সরকারের কৃষকনীতি। উত্তর প্রদেশের আখ চাষিদের উন্নয়নে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার কোনওটাই পূরণ করতে পারেনি যোগী এবং মোদি সরকার। যার ফল ভোটবাক্সে ভালই পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বারাণসীর রোড শোয়ে জনতার ঢল এনে যতই চমক দিন মোদি, বাস্তবে যে বিজেপি চাপেই রয়েছে।