Police Enters To Jamia Campus: বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বহিরাগতদের গ্রেফতার করল পুলিশ
নতুন নাগরিকত্ব আইনের আগুলে জ্বলছে দেশ (India)। উত্তপ্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত। দিল্লিতে ব্যাপক বিক্ষোভ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University)। পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হয় পুলিশকে। লাঠিচার্জ থেকে কাঁদানে গ্যাস— বাদ পড়েনি কিছুই।
নতুন দিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর: নতুন নাগরিকত্ব আইনের আগুলে জ্বলছে দেশ (India)। উত্তপ্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত। দিল্লিতে ব্যাপক বিক্ষোভ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University)। পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হয় পুলিশকে। লাঠিচার্জ থেকে কাঁদানে গ্যাস— বাদ পড়েনি কিছুই। গতকালই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস (Campus) থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবেন। ওই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন প্রায় দু’হাজার পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত্র। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড টপকে এগোতে শুরু করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আহত হন প্রায় ৬৩ জন। এবার আজ রবিবার ঘটনায় যোগ হল নতুন মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু বহিরাগতকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে প্রথমেই প্রধান ফটকগুলি বন্ধ করে দেয়ব পুলিশ (Police)। তারপরেই গ্রেফতার করে কিছু বহিরাগতকে। এই বহিরাগতরা পিছন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিল। যদিও ওয়াসিম আহমেদ খান এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমাদের কর্মী এবং ছাত্রদের মারধর করা হচ্ছে। তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Citizenship Amendment Act Protest: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে পড়ুয়ারা, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সেমিস্টারের বাতিল হওয়া পরীক্ষা (Examination) কবে হবে সেই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আজ অর্থাৎ শনিবার যে সমস্ত পরীক্ষা ছিল, সেই সমস্ত পরীক্ষাই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।'