11th Year Of The 26/11: ১১ বছর পেরিয়ে ২৬/১১-র আতঙ্ক কি ভুলতে পেরেছেন দেশবাসী! ভয়ঙ্কর সেই রাতে কি হয়েছিল মনে আছে?
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। দিনটার নাম মনে করলেই যেন গা শিউরে ওঠে সমগ্র ভারতবাসীর। আজও একটা ২৬/১১। তবে ভয়ঙ্কর সেই দিনটা রোমহর্ষক আতঙ্ক পেরিয়ে আজ ১১ বছরে পড়ল। ১০ বছর পেরিয়ে সেই আতঙ্ক কি ভুলতে পেরেছেন দেশবাসী! দশক পেরিয়ে ভয়ঙ্কর সেই রাতে (Night) কি হয়েছিল মনে আছে?
মুম্বই, ২৬ নভেম্বর: ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। দিনটার নাম মনে করলেই যেন গা শিউরে ওঠে সমগ্র ভারতবাসীর। আজও একটা ২৬/১১। তবে ভয়ঙ্কর সেই দিনটা রোমহর্ষক আতঙ্ক পেরিয়ে আজ ১১ বছরে পড়ল। ১০ বছর পেরিয়ে সেই আতঙ্ক কি ভুলতে পেরেছেন দেশবাসী! দশক পেরিয়ে ভয়ঙ্কর সেই রাতে (Night) কি হয়েছিল মনে আছে?
জলপথে সেদিন ভারতে এসে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের (Mumbai) মাটিতে সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল পাক জঙ্গিরা। হামলার ছক কষেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তানে বসেই সেই ছক কষা হয়েছিল। মোট ১০জন যুবককে পাকিস্তানের মাটিতেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র সমেত ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২১ নভেম্বর করাচি ছাড়ে ওই জঙ্গিরা। প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় জলসেনার নজর এড়িয়ে বোটে করে এদেশের জলসীমান্তে আসে। ২৩ নভেম্বর জঙ্গিরা একটি ভারতীয় ট্রলার অপহরণ করে। 'কুবের' নামের ওই ট্রলারের চারজন মৎসজীবীকে মেরে নাবিককে প্রাণের ভয় দেখিয়ে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা ভারতীয় জলবাহিনীর নজর এড়িয়ে মুম্বইয়ের সীমান্তে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। এরপরে করাচি থেকে নির্দেশ এলে মুম্বই উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ট্রলারের নাবিককে মেরে স্পিড বোট নিয়ে পাড়ে চলে আসে জঙ্গিরা।২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ।তারা যে পাকিস্তান থেকেই এদেশে এসেছিল তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সেদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান তারিক খোসার কথায়। আরও পড়ুন: Terror Attack: রাজধানীতে নাশকতার ছক বানচাল, আইইডি-সহ ৩ আইসিস জঙ্গিকে পাকড়াও পুলিশের
কাসবরা পাকিস্তানেই (Pakistan) জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এদেশে এসে চারদিন ধরে হামলা চালিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬৪জন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছিলেন ৩০৮ জন। জীবিত জঙ্গি হিসাবে ধরা পড়েছিল আজমল কাসব। পরে ভারতে তার ফাঁসি হয়। প্রথমে একটি ক্যাফেতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে মারা হয়। দুটি ট্যাক্সিতেও বোমা রাখা হয়। ঘটনায় মোট ৫জন মারা যান ও ১৫জন আহত হন। জঙ্গিদের মধ্যে চারজন তাজমহল হোটেলে ঢোকে। ২জন ওবেরয় ট্রাইডেন্টে ও জন নরিম্যান হাউসে। বাকি দুই জঙ্গি আজমল কাসব ও ইসমাইল ট্যাক্সি ধরে ছত্রপতি শিবাজি রেল টার্মিনাসে চলে যায়। কাসব ও ইসমাইলের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। স্টেশনে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি চালাতে ও হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনায় মোট ৫২ জন মারা যান, আহত হন ১০৯ জন। আজমল ও ইসমাইল কামা হাসপাতালে ঢুকে সেখানেও প্রকাশ্যে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। মুম্বইয়ের এটিএস প্রধান হেমন্ত করকরে কাসভদের ধরতে গেলে তাঁকেও মেরে ফেলে জঙ্গিরা। এরপরে জিপ নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে গমদেবী পুলিস স্টেশনের আধিকারিকেরা গীরগম চৌপাট্টিতে গিয়ে অবশেষে ধরে ফেলেন দুজনকে। গুলিতে ইসমাইলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ২৯ তারিখ পর্যন্ত তাজমহল হোটেল, টাওয়ার হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, নরিম্যান হাউস ইত্য়াদি জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা জঙ্গিদের নিকেশ করে ভারতীয় কম্যান্ডো। বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হয় বাণিজ্যনগরীকে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)