Photo Credit ANI

একদিকে যেমন মহারাষ্ট্রে বিপুল জয়, অন্যদিকে আবার ঝাড়খণ্ডে পরাজয় বিজেপির। ৮১টি আসনের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও সরকার গড়তে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (Jharkhand Mukti Morcha)। ৩৪টি আসনে একাই জিতেছে হেমন্ত সোরেনের দল। অন্যদিকে শরিক দল হিসেবে কংগ্রেস ১৬টি আসন ও আরজেডি ৪টি আসনে জিতেছে। অন্যদিকে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে এনডি শিবির। বিজেপির দখলে মাত্র ২১টি আসন। আর এলজেপি ও জেডিইউ-এর দখলে রয়েছে মাত্র একটি করে আসন।

মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড নিজেদের দখলে রাখবে এই আশায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মোদী-শাহরা। কিন্তু তা হল না। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে আসন নিয়ে কংগ্রেস ও জেএমএমের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছিল আরজেডির। কম আসন দেওয়া হয়েছিল বলে ক্ষুব্ধ মনোজ কুমার ঝাঁ-এর মতো নেতারা। যদিও যে কটা আসন দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যেও কয়েকটি আসনে হেরেছে আরজেডি। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আরজেডি নেতা তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "ঝাড়খণ্ডে ৪ সিটে বিপুল সংখ্যক ভোটে আমরা জিতেছি। তবে ১-২টি সিটে খুব কম মার্জিনে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তবে যাই হোক না কেন শেষমেশ মহাজোটের সরকারই ক্ষমতায় আসছে। এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনের ওপরেই আমাদের সমর্থন থাকছে, এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এবারে আমাদের লক্ষ ২০২৫-এ বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তারজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার আগে ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন রয়েছে। আর এই চার লোকসভা কেন্দ্র এমনিতেই আমাদের দখলে রয়েছে। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এনডি কোনওভাবেই বিহারে সরকার গড়তে পারবে না"।