Kanpur: ‘তবলিকি জমাতের সদস্যরা সন্ত্রাসবাদী, ওদের কালাকুঠুরিতে ভরে রাখা হোক’, ভাইরাল কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের বক্তব্য
তবলিকি জমাতের (Tablighi Jamaat) সদস্যদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বললেন কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর আরতি লালচন্দানি। মুসলিমদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ৩০ কোটি মানুষের জন্য তোষণের রাজনীতি চলছে। বিপদে ফেলা হচ্ছে ১০০ কোটি জনগণকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব বলে ফেলে বেশ বিপাকে কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে। এসব শুনতে পেয়ে সাফাই দিলেন, সাংবাদিকরা তাঁর বক্তব্য বিকৃত করেছেন। যখন ভিডিওতে শোনা গেল তিনি বার বার বলছেন, এই কথা যেন কোথাও প্রকাশ না পায়। তখন তিনি বললেন, রেগে গিয়ে এসব বলছেন, এ তাঁর মনের কথা নয়।
কানপুর, ১ জুন: তবলিকি জমাতের (Tablighi Jamaat) সদস্যদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বললেন কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর আরতি লালচন্দানি। মুসলিমদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। ৩০ কোটি মানুষের জন্য তোষণের রাজনীতি চলছে। বিপদে ফেলা হচ্ছে ১০০ কোটি জনগণকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব বলে ফেলে বেশ বিপাকে কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে। এসব শুনতে পেয়ে সাফাই দিলেন, সাংবাদিকরা তাঁর বক্তব্য বিকৃত করেছেন। যখন ভিডিওতে শোনা গেল তিনি বার বার বলছেন, এই কথা যেন কোথাও প্রকাশ না পায়। তখন তিনি বললেন, রেগে গিয়ে এসব বলছেন, এ তাঁর মনের কথা নয়।
এদিকে কানপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হইহই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চার মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে লালচন্দানি বলছেন, “এই লোকগুলো সন্ত্রাসবাদী। আর আমরা তাদের ভিআইপি চিকিৎসা দিচ্ছি। ফল, জল খেতে দেওয়া হচ্ছে। ওদের জন্য আমরা আমাদের খাদ্য় পানী, ওষুধ ও ম্যান পাওয়ার খরচ করছি। তাদের জন্য হোটেলের বিল দিচ্ছি। কিট নষ্ট করছি। খাবার ওষুধ খরচ করছি। আপনারা কিন্তু এসব কথা প্রকাশ্যে জানাবেন না। তবে কেউ যখন আমার কথা শুনছে না তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশিকা মেনে কাজ করছেন জেলা শাসকরা। আশা করছি আমার বক্তব্য রেকর্ড হচ্ছে না। সন্ত্রাসবাদীগুলোক হাসপাতালে রেখে তোষণের রাজনীতি চলছে।” আরও পড়ুন-Mumbai: করোনাত্রস্ত মুম্বইকে বাঁচাতে কেরালা থেকে আসছে ১০০-রও বেশি চিকিৎসক-নার্সের দল
তিনি আরও বলেন, “এদের চিকিৎসা না করে জেলে পুরে রাখার দরকার ছিল। আইসোলেশন ওয়ার্ড নয়, তবলিকি জমাতের সদস্যদের জঙ্গলে ছুঁড়ে ফেলা উচিত। জামাতিদের জন্য কোনও খরচ করা হবে না, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা জারি করা উচিত ছিল। এদের জন্য ৮০টা অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার হল। এনিয়ে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আমার উত্তপ্ত বার্তালাপও হয়েছে। সিএমওকে বলেছি ওই ২২ জন রোগীকে জঙ্গলের মধ্য কালা কুঠুরিতে বন্ধ করে রাখা হোক। তবে কেউ আমার কথা পাত্তা দিল না। ৩০ কোটির প্রাণ বাঁচাতে ১০০ কোটির জীবন দাঁও-তে লাগিয়ে দিল। সব তোষণের রাজনীতি”