মুম্বই, ১৪ অক্টোবর: রোগিণীকে ধর্ষণের পর আপত্তিকর ছবি তুলে লাগাতার ব্ল্যাকমেলিং। তাতেও যখন নির্যাতিতা বশ্যতা স্বীকার করলেন না তখন সেই সব আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দিল ধর্ষক ডাক্তার। শেষমেশ বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা বছর সাতাশের তরুণী। এই অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে রাতারাতি অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের মেঘওয়াড়ি থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চিকিৎসকের নাম বংশরাজ দ্বিবেদী (৫৮) (Dr Vanshraj Dwivedi)। ২০১৫ সাল নাগাদ তাঁর কাছে পাইলসের চিকিৎসা করাতে যান ওই তরুণী। প্রথমবার চিকিৎসায় ফল পাওয়ার পর দ্বিতীয় বার ফের ডাক্তারের কাছে যান ওই তরুণী। তখনই তাঁকে ওষুধ দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, অচেতন অবস্থাতেই তরুণীর আপত্তিকর ভিডিও তোলেন ওই চিকিৎসক। পরে তরুণীর জ্ঞান ফিরলে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিতে বাধ্য করে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এক টানা নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। এরপর ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে আর ধর্ষক চিকিৎসকের ফোনের উত্তর দেননি তিনি। এই ঘটনায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নির্যাতিতার আপত্তিকর ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় ওই চিকিৎসক। আরও পড়ুন-পাঞ্জাব হরিয়ানার চাষিরা খড় পোড়াচ্ছেন, মারাত্মক দূষণর গেরোয় রাজধানীর লোধী রোড
এরপর তরুণীর এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম দেখে ফেলেন তাঁর স্বামী। বিষয়টি নিয়ে তরুণীকে প্রশ্ন করতেই তিনি সমস্ত ঘটনা বলে দেন। এরপরই ধর্ষক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মেঘওয়াড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার স্বামী। সেই অভিয়োগের ভিত্তিতেই ওই চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৭ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।