Netaji's Relative On CAA: 'মুসলিমদের CAA-তে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না কেন?' বিরোধীদের সুর বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসুর গলায়

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বংশধর বিজেপি দলের সদস্য চন্দ্র বসু। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হল খোদ বিজেপিকেই। তিনি টুইট করে লেখেন, যদি ওই আইনের সঙ্গে যদি ধর্মের সম্পর্ক নাই থাকে, তাহলে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের কথা উল্লেখ করা আছে কেন? মুসলমানদেরই বা ওই তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা উচিত।

বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসু (Picture Credits: Twitter)

কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) প্রপৌত্র ও বিজেপি নেতা (BJP Leader) চন্দ্র কুমার বসু (Chandra Kumar Bose)। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হল খোদ বিজেপিকেই। তিনি টুইটে লেখেন, "যদি ওই আইনের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নাই থাকে, তাহলে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের কথা উল্লেখ করা আছে কেন? মুসলমানদেরই বা ওই তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা উচিত।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ। এরই মাঝে এই মন্তব্য বিজেপির জন্য রীতিমতো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বসু। যদিও এই আইন নিয়ে বিজেপি দলের নেতাদের মতবিরোধ রয়েছে। দলের অভ্যন্তরে অনেকেই এই আইন বিরোধী। যদিও গত রবিবার থেকে দিল্লিতে জনসভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতীয়দের জন্যই নয়। এদেশের হিন্দু, মুসলমান—কাউকেই এই আইনের আওতার মধ্যে পড়তে হবে না। একথা স্পষ্ট করে সংসদেই বলা হয়েছে। তবু কিছু লোক আন্দোলনের নামে সারা দেশে আগুন জ্বালছে। আর পিছন থেকে কিছু লোক তাদের ইন্ধন দিচ্ছে।” আরও পড়ুন, 'তবু আমাদের একটা আশা আছে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন' মেয়ে প্রহৃত হওয়ার পরদিন জানালেন জয় গোস্বামী

গত লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে চন্দ্র কুমার বসু বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন। তাঁর বিপক্ষে ছিলেন তৃণমূলের মালা রায়। জোট এবং সমর্থক সরকারের এনডিএ-র শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড)-র মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারে এনআরসি করা হবে না। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিও তাই  জানিয়েছেন। শিরোমণি আকালি দল দাবি করেছে, উদ্বাস্তু মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। বিজেপির কয়েকজন প্রাক্তন নেতাও এই আইনের বিরোধিতা করেছেন।