Microplastics in Salt and Sugar: ভারতে উৎপন্ন সমস্ত সংস্থার চিনি এবং নুনে মজুত রয়েছে ক্ষতিকারক মাইক্রোপ্লাস্টিক (Microplastics)। মঙ্গলবার এক গবেষণার রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশগত গবেষণা সংস্থা টক্সিকস লিঙ্ক দ্বারা পরিচালিত 'মাইক্রোপ্লাস্টিকস ইন সল্ট অ্যান্ড সুগার' নামের ওই গবেষণার রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ভারতে উৎপন্ন সমস্ত সংস্থার চিনি এবং নুনে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। তা সে সংস্থা ছোট হোক কিংবা বড়। সদ্য প্রকাশিত এই তথ্য রীতিমত ঘবড়ে দেওয়ার মত বৈকি। কারণ চিনি ছাড়া রান্না তাও বা সম্ভব কিন্তু নুন ছাড়া খাবার মুখে তুলবে কেমন করে মানুষ। খাবারের প্রতিটা গ্রাসেই সঙ্গেই তো তাহলে আমাদের শরীরে ক্ষতিকারক মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে।
টক্সিকস লিঙ্ক দ্বারা পরিচালিত 'মাইক্রোপ্লাস্টিকস ইন সল্ট অ্যান্ড সুগার' নামক ওই গবেষণায় ১০ ধরণের নুনের পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে টেবিল লবণ, রক সল্ট, সি সল্ট এবং স্থানীয় কাঁচা লবণ । এছাড়া অনলাইন এবং স্থানীয় বাজার থেকে পাঁচ ধরনের চিনি কিনে তা পরীক্ষা করা হয়। সমীক্ষার রিপোর্টে সমস্ত লবণ এবং চিনির নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের (Microplastics) উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। আর ওই সমস্ত মাইক্রোপ্লাস্টিকের আকার ০.১ মিমি থেকে ৫ মিমি পর্যন্ত। আয়োডিনযুক্ত লবন (Iodised Salt) এবং অজৈব চিনির (Non-Organic Sugar) মধ্যে সবচেয়ে বেশ মাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের মাত্রা মিলেছে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক আসলে কী?
মাইক্রোপ্লাস্টিক (Microplastics) একটি বিশেষ ধরনের সূক্ষ্ম প্লাস্টিক কণা। যেসব প্লাস্টিকের আকার ২ মাইক্রোমিটার থেকে ৫ মিলিমিটারের মধ্যে হয়, সেইসব প্লাস্টিককে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য দুয়ের জন্যেই এই মাইক্রোপ্লাস্টিক অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের প্লাস্টিক খাদ্যদ্রব্য তো বটেই বাতাসের মাধ্যমেও চলাচল করতে সক্ষম। বর্তমানে ঘরে ঘরে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যে হারে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে তার জন্যে মাইক্রোপ্লাস্টিককে দায়ী মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের যেটুকু অংশ বিয়োজিত হয় না, তা মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসাবে খাবার এবং জলের মধ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। যা থেকে নানা ক্ষতিকারক সংক্রমণ ঘটছে। পরিবেশে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি দিনে দিনে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। প্লাস্টিকের এই ক্ষুদ্র কণাগুলো খাদ্য, জল এবং বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, এমনকি মায়ের বুকের দুধ এবং গর্ভস্থ শিশুর অঙ্গেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের (Microplastics) উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।