Shivraj Singh Cahuhan, Narendra Modi (Photo Credit: ANI)

মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল কংগ্রেস। সব জল্পনা উড়িয়ে আরও একবার মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। কংগ্রেস, কমলনাথ-কে ধরাশায়ী করল পদ্মশিবির। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপি ১৬০টি-তে এগিয়ে, সেখানে কংগ্রেস এগিয়ে মাত্র ৬৭টি-তে। অথচ ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী হাওয়া ছিল। মনে করা হচ্ছিল, কমলনাথের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির রণকৌশলে ধরাশায়ী হল হাত শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অভিজ্ঞ নেতা, হেভিওয়েট মুখদের নামিয়ে রেকর্ড সাফল্যের পথে বিজেপি। বিজেপির হেভিওয়েটরা

নিজেদের আসনে তো জিতছেনই, সঙ্গে তাদের প্রভাব অন্য কেন্দ্রেও পড়েছে। নরেন্দ্র মোদীর চোখধাঁধানো প্রচারও বেশ কাজ করেছে।

দেখুন মধ্যপ্রদেশের ফল

গতবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস জিতেছিল ১১৪টি, বিজেপি ১০৯টি আসনে। অন্যান্য দলগুলির সমর্থনে সেখানে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমলনাথ। কিন্তু দু বছর পরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপিতে যোগ দেন। সিন্ধিয়া তাঁর সঙ্গে আরও ৩০ জন বিধায়ককে বিজেপিতে নিয়ে যান। করোনা লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে পড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। সিন্ধিয়ার বিদ্রোহে মধ্যপ্রদেশে সিংহাসন ফিরে পেয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। তখন অনেকেই এভাবে সরকার গড়ায় শিবরাজের সমালোচনা করেছিলেন।

কিন্তু এবার কঠিন ভোটে অনায়াসে জিতে শিবরাজ প্রমাণ করলেন তাঁকে কেন বড় নেতা বলা হয়। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা-ও অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করলেন। সেখানে রাহুল গান্ধীর কাছে ফের ধাক্কা। লোকসভার আগে অনেকটা পিছিয়ে পড়ল হাত শিবির।