মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) বেকসুর খালাস হয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসাদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সহ সাতজন। প্রধান অভিযুক্তের তালিকায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়দের। মামলা থেকে অব্যাহতি পেতেই সাধ্বী প্রজ্ঞা দাবি করেন, এই মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথদের নাম জড়াতে চেয়েছিলেন তৎকালিন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও অব্যাহতি পেলেও এই বিষয়ে আর মুখ খুলে বিতর্ক ছড়াতেই চাইছেন না প্রসাদ পুরোহিতরা।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ড কী বললেন প্রসাদ পুরোহিত?
এই প্রসঙ্গে শনিবার প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত। তিনি বলেন, “গোটা দেশ জানে এটা পুরোপুরি সাজানো ঘটনা ছিল এবং আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছিল। আদালতে এতদিন মামলা চলেছিল। সকলেরই সবকিছু জানা। আমি এই নিয়ে কিছুই বলতে চাইছে। বিচারপতি যেটা বিচার করেছেন সেটা বিস্তারিতভাবে লেখাও রয়েছে। সকলেই জানে যে আমাদের বিরুদ্ধে কারা অভিযোগ করেছিল, কী অভিযোগ করেছিল। এখন তাঁদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে। তাঁদের প্রশ্ন করলেই এই ঘটনার আসল সত্য বাইরে আসবে”।
দেখুন প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতের বক্তব্য
Mumbai, Maharashtra: On the Malegaon blast case, verdict, Lt Col Prasad Shrikant Purohit says, ".... I am positive that the findings are very, very comprehensive and very, very elaborate on that. The entire world knows it was a concocted case. It was an outcome of Illegitimate… pic.twitter.com/YpqMqgIKnl
— IANS (@ians_india) August 2, 2025
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ড
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিকের মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে দুটি বাইক বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০০ জনেরও বেশি। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম জড়িয়েছিল প্রজ্ঞা ঠাকুর সিং (সাধ্বী প্রজ্ঞা), প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়দের। পুলিশের দাবি ছিল, যে বাইকে বিস্ফোরক মজুত ছিল, সেগুলি নম্বরপ্লেট খতিয়ে দেখে জানা যায় বাইকগুলি প্রজ্ঞার নামে ছিল। আর সেই অভিযোগে তাঁকেও গ্রেফতার করা যায়।