সম্ভবত দুদশক পর এবারেই প্রথম গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হলেন না আমেঠি থেকে। বরং রাজীব (Rajiv Gandhi) ঘনিষ্ঠ কিশোরীলাল শর্মার (Kishori Lal Sharma) ওপরেই ভরসা রাখল কংগ্রেস। এই আমেঠি কেন্দ্র একাধিকবার কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু কিশোরলালের মতো নেতাদের ভরসায় পুনরুদ্ধার করতে পেরেছিল কংগ্রেস। এবারেও সেই আশাতেই সোনিয়া গান্ধীর ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা কেএল শর্মাকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস।
এদিন প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই আমেঠিতে চলে যান প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi Vadra)। কিশোরীলালের প্রচারে যোগ দেন তিনি। জনসভায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমার হাতে বেশি সময় নেই। আজ রাহুল রায়বারেলিতে মনোনয়ন জমা দিতে যাবে, সেখানে আমায় যেতে হবে। কিশোরীলালজি গত ৩০-৪০ বছর ধরে আমেঠিতে আছেন। তিনি এখানকার প্রতিটি গলি চেনেন। উনি এখানকার সমস্ত সমস্যার কথা জানেন। আমি ওনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব এবং ওনাকে জেতাবো।
প্রসঙ্গত, আদতে পঞ্জাবের বাসিন্দা কিশোরীলালকে ১৯৮৩ সালে আমেঠিতে এনেছিলেন রাজীব গান্ধীই। তখন থেকেই আমেঠি, সুলতানপুর এবং রায়বারেলির সংগঠন দেখভাল করছেন কিশোরীলাল। ১৯৯৯ সালে প্রথম যখন সোনিয়া গান্ধী আমেঠি থেকে প্রার্থী হন, তখন তাঁকে জেতানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কিশোরীলালের। ২০১৯-এ রাহুল গান্ধীর পরাজয়ের পর আমেঠিকে হাতছাড়া করে কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে কিশোরীলাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে হারিয়ে আমেঠিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।