Hindu couple cannot be divorced without consent of court: আদালতের অনুমতি ছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

বিচারক সঞ্জীব সচদেব আর রজনীশ ভাটনাগর বলেছেন যে দুজন দম্পতির দুজনই হিন্দু এবং তাদের বিয়ে হিন্দু নিয়ম নীতি মেনে করা হয়েছিল তাই আদালতের বাইরে শুধু একটা একশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে যৌথ সম্মতিতে করা বিবাহ বিচ্ছেদের কোন গুরুত্ব বা অস্তিত্ব নেই

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বড় রায় শোনালো দিল্লি হাইকোর্ট। তাঁরা জানিয়েছে  হিন্দু দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে সহমত হলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত  নিতে পারবে না। আদালতের বাইরে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বানানো ডিভোর্সের কাগজকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। বিচারক সঞ্জীব সচদেব আর রজনীশ ভাটনাগর বলেছেন যে দুজন দম্পতির দুজনই হিন্দু এবং তাদের বিয়ে হিন্দু নিয়ম নীতি মেনে করা হয়েছিল তাই আদালতের বাইরে শুধু একটা একশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে যৌথ সম্মতিতে করা বিবাহ বিচ্ছেদের কোন গুরুত্ব বা  অস্তিত্ব নেই। আদালত বলেছে যে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট (Hindu Marriage Act) অনুযায়ী এইরকম ভাবে যৌথ সম্মতিতে তৈরি করা কাগজপত্র নিরর্থক।

আদালতে মামলার শুনানির সময় যখন আদালতে স্বামীর তরফ থেকে খোরপোষের কথা ওঠে তখন স্বামীর পক্ষের  উকিল আদালতকে জানায় যে এই দম্পতি ইতিমধ্যেই যৌথ সম্মতিতে ডিভোর্স নিয়েছে তখনই আদালত এই রায় দেয় যে এইভাবে করা বিবাহ বিচ্ছেদ অসঙ্গত ও গুরুত্বহীন।

চলতি বছরের মে মাসে পরিবার আদালতে এই মামলার রায়তে বলা হয় স্বামী স্ত্রীকে প্রতিমাসে খোরপোষ  বাবদ সাত হাজার টাকা করে দেবে। কিন্তু স্বামী আদালতে জানায় সে প্রত্যেক মাসে মাত্র ১৫ হাজার টাকা রোজগার করে। তাই তার পক্ষে ৭ হাজার টাকার খোরপোষ  দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরে পরিবার আদালতকে স্ত্রী জানায় যে তার স্বামী রিয়েল এস্টেট কারবারের সঙ্গে যুক্ত এবং প্রত্যেক মাসে ৫০০০০ থেকে ১ লাখ টাকা রোজগার করেন।তাই এই টাকা তিনি দিতে পারবেন। ফ্যামিলি কোর্টের দেওয়া রায়তে প্রথমে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে চাইনি বরং ফ্যামিলি কোর্টের রায় অনুযায়ী স্বামীকে বিচারকরা বলেন প্রত্যেক মাসে স্ত্রীকে ৭ হাজার টাকা খোরপোষ দিতে হবে।