Himachal Pradesh Weather Forecast: ভারী তুষারপাতে হিমাচল যেন হিম দুর্গ, বরফ সরিয়ে ৫০০০ পর্যটক উদ্ধার, ব্যাহত বিদ্যুৎ এবং জলের পরিষেবা
হিমাচলে গত তিন দিন ধরে তুষারপাতের মাত্রা এতই বেড়েছে যে রাজ্যের প্রায় দুই শত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হিম দুর্গে পরিণত হয়েছে গোটা রাজ্য। রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। আটকে গিয়েছে তাঁদের গাড়ি।
Himachal Pradesh Weather Forecast: জাঁকিয়ে তুষারপাত হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু কাশ্মীরে। শৈত্যপ্রবাহে কাঁটা উত্তরাখণ্ড, পড়ছে বরফ। বরফ দেখার টানে ডিসেম্বরে পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের ভিড় কয়েকগুণ বাড়ে। এদিকে ভারী তুষারপাতের জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদেরই। হিমাচলে গত তিন দিন ধরে তুষারপাতের (Snowfall) মাত্রা এতই বেড়েছে যে রাজ্যের প্রায় দুই শত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হিম দুর্গে পরিণত হয়েছে গোটা রাজ্য। রাস্তা বন্ধ হওয়ার ফলে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। আটকে গিয়েছে তাঁদের গাড়ি। প্রশাসনের তরফে বরফ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার অভিযান চলছে। কুলু এলাকা থেকে বরফ সরিয়ে প্রায় ৫০০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারী তুষারপাতের (Heavy Snowfall) ফলে রাস্তা বন্ধের পাশাপাশি বিদ্যুৎ এবং জল নিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়ে রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। জলের পাইপ জমে যাচ্ছে। ফলে জল সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। রান্না থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে পর্যাপ্ত জল না মেলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত হিমাচলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (Himachal Pradesh Weather Forecast)।
এদিকে শুক্রবারই মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে ভূস্বর্গের রাজধানী শহর শ্রীনগরে। শ্রীনগর ছাড়াও গন্ডারবাল, অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান, পুলওয়ামা, ডোডা, রামবানের মত একাধিক এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। বরফ পড়ার ফলে বন্ধ হয়েছে গিয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের বহু রাস্তা। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। জম্মুতে এদিন প্রবল বৃষ্টিও হয়েছে। প্রবল তুষারপাতের ফলে শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। তুষারপাতের সঙ্গে বৃষ্টি হু হু করে নামছে তাপমাত্রা। হাড়হিম করা ঠাণ্ডাতেও পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণে বিরাম নেই। বছরভর এই সময়টার জন্যেই তো অপেক্ষা করে থাকে পাহারপ্রেমী মানুষরা।