
কানপুর, ১৬ মেঃ সমাজের চোখে চুলই মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্যের মাপকাঠি। কথাতেই রয়ে গিয়েছে কেশই বেশ। চুলের যত্নে নানা নামীদামী তেল, শ্যাম্পু, সিরাম ব্যবহার করেন নারীরা। পিছিয়ে নেই পুরুষেরাও। চুলকে ভালো রাখতে অত্যাধুনিক ট্রিটমেন্টেরও সাহায্য নেন অনেকে। মাথায় চুল কমে গেলে কিংবা টাক পড়ে গেলে অবসাদ গ্রাস করে। অনেকেই (Hair Transplant) করেন। ব্যয়বহুল এই প্রক্রিয়া তারকাদের মধ্যে ভীষণভাবে জনপ্রিয়। তবে গ্যাঁটের জোর থাকলে বহু সাধারণ মানুষও চুল প্রতিস্থাপন করেন। কিন্তু অনেকেই কম খরচে মাথায় নতুন চুলের বাসনায় ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান থেকে চুল প্রতিস্থাপন করান। যার পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরে মাথায় চুল বুনতে গিয়ে দুই যুবক বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন।
আমাদের আশেপাশে চুল প্রতিস্থাপনের জন্যে বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যোগ্য প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকেরা এই কাজ করে থাকেন। চুল প্রতিস্থাপন নিতান্তই খরচ সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। পকেটে যাদের জোর নেই তাঁদের জন্যে আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠেছে ছোটখাটো কিছু 'হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট' প্রতিষ্ঠান (Hair Transplant Clinic)। যেখানে কম খরচে মাথায় নতুন চুল বসানো হয়। খরচ কম তাই পন্যের গুণগত মান কম। যোগ্য প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকও মেলে না এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে।
কানপুরে (Kanpur) তেমনই কোন এক ক্লিনিক থেকে চুল প্রতিস্থাপন করে মৃত্যুর মুখে ঢোলে পড়লেন দুই যুবক। বিনীত দুবে এবং মায়াঙ্ক কাটিয়ার। দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। দুই পরিবারের অভিযোগ, অনুষ্কা তিওয়ারি নামে এক চিকিৎসক পরিচালিত ক্লিনিক থেকে চুল প্রতিস্থাপন করেছিলেন বিনীত এবং মায়াঙ্ক। তারপর দুজনই মারা যান।
মায়াঙ্কের ছোট ভাইইয়ের অভিযোগ, গত বছর ১৮ নভেম্বরত তাঁর দাদা কানপুরে অনুষ্কা তিওয়ারির ক্লিনিক থেকে চুল প্রতিস্থাপন করিয়েছিলেন। বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর গোটা মুখ ফুলতে শুরু করে। চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। পরের দিন, ১৯ তারিখ সকালে আচমকাই মারা যান দাদা। ১৪ মার্চ ওই একই ক্লিনিক থেকে চুল প্রতিস্থাপন করে মারা যান বিনীত দুবে।