মুম্বই, ২২ জুলাইঃ স্বামীকে খুন করে দেহ ঘরের মেঝের নীচে পুঁতে রেখেছিলেন স্ত্রী। প্রমাণ লোপাট আরও নিখুঁত করে তুলতে তার উপর নতুন টাইলস বসিয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরে নালাসোপাড়ার (Nalasopara) হত্যাকাণ্ডে 'দৃশ্যম' (Drishyam) ছবির ঝলক ফুটে উঠছে। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করার জন্যে নিখুঁত পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন স্ত্রী কোমল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাটে হাঁড়ি ভাঙল তাঁর। পুলিশ টাইলস ভেঙে ঘরের মেঝে খোদাই করে উদ্ধার করেছে বছর ৪০-এর বিজয়ের দেহ। প্রায় ১২-১৫ দিন ধরে মাটির তলায় পচছে দেহ। ঠিক কবে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে তা দেহের ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
'দৃশ্যম' কাহিনীর ধাঁচে স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
পুলিশ জানাচ্ছে, নালাসোপারারা গার্গাপাড়ায় স্ত্রী কোমলকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন বিজয়। দম্পতির একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশী যুবক মনুর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন কোমল। সেই সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার জন্যে পথের কাঁটা বিজয়কে সরানোর ছক করেন মনু এবং কোমল। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, প্রায় ১২ দিন আগে কোমল তাঁর ভাড়াবাড়িতে ৩.৫ ফুট গভীর এবং ৬ ফুট লম্বা একটি গর্ত করিয়েছিলেন। এর ঠিক দু দিন পর ওই গর্তের উপর টাইলস বসানোর জন্য একজন লোক এনেছিলেন তিনি। পারিশ্রমিক হিসাবে তাঁকে ১,২০০ টাকাও দেন কোমল।
টাইলস ভেঙে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার

এদিকে গত ১৫ দিন ধরে বিজয় নিখোঁজ। তাঁর পরিবার বহু যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। কিছু একটা ঘটেছে সন্দেহ করে বিজয়ের ভাড়াবাড়িতে যান তাঁর ভাইয়েরা। গিয়ে দেখেন বাড়িতে তালাবন্ধ। প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাড়ির তালা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকতেই দুর্গন্ধ নাকে আসে সকলের। তাঁরা লক্ষ্য করেন, একটি ঘরের মেঝের কয়েকটি টাইলস অন্যরকম রঙের ছিল। ওই ঘরের এক কোনায় পড়েছিল বিজয়ের একটি জামা। সন্দেহ হতে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে গন্ধের সূত্র ধরে টাইলস ভাঙতে শুরু করেন। মাটি কিছুটা খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একটি পচাগলা দেহ। ওই দেহটি বিজয়ের বলে শনাক্ত করেছে বিজয়ের ভাই। নিখোঁজ কোমল এবং মনুর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। বিজয় এবং কোমলের সাত বছরের ছেলেরও কোন হদিস মেলেনি এখনও।