পহেলগাম হামলা থেকে অপারেশন সিঁদুর। বিগত এপ্রিল মাস থেকে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখে বিশেষ অধিবেশন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা্র জবাবে বুধবার সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সরাসরি বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) ঘোষণা করে দেন। তাও আবার ৪৫ দিন আগে। এর মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, এই মুহূর্তে কোনও বিশেষ অধিবেশ করতে ইচ্ছুক নয় কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

বিশেষ অধিবেশ না হওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, “এতদিন আমরা দেখতাম অধিবেশন শুরু ১০-১৫ দিন আগে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম ৪৭ দিন আগে বাদল অধিবেশনের ঘোষণা করছে কেন্দ্র সরকার। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অধিবেশন এড়িয়ে চলছেন। আসলে পহেলগাম হামলা কীভাবে হল, আমা্দের ভারতীয় এজেন্সি কীভাবে এই হামলার কথা আগে থেকে জানতে পারল না, মূল অভিযুক্তদের এখনও ধরা হল না কেন? অপারেশ সিঁদুর লঞ্চ করার ৪ দিনের মাথায় কেন বন্ধ করে দেওয়া হল, আমেরিকা কেন যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ক্রেডিট নিচ্ছে? এই সমস্ত প্রশ্নের সম্মুখীন যাতে প্রধানমন্ত্রীকে না করতে হয়, সেই কারণে তিনি বিশেষ অধিবেশন এড়িয়ে যাচ্ছেন”।

২১ জুলাই থেকে বাদল অধিবেশন

এদিকে জয়রাম রমেশ বলেন, “উনি বিশেষ অধিবেশ এড়িয়ে যাচ্ছেন, এটা স্পষ্ট। কিন্তু বাদল অধিবেশ এড়াবেন কীভাবে? ওনাকে তো প্রশ্নের সম্মুখীন সেখানেও হতে হবে। আমরা বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পহেলগাম এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন করব। সেখানে তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না”। প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। যদিও বাদল অধিবেশনে পহেলগাম হামলা, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে বলে জানিয়েছেন কিরেন রিজিজু