আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআবি)। রিপোর্ট অনুযায়ী বিমানটি ওড়ার পর আচমকাই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এএআইবির পরিভাষা অনুযায়ী, জ্বালানির সুইচ রান থেকে কাটঅফ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই বিমানবন্দর থেকে কিছুটা দূরে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এরজন্য প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠছে মৃত দুই পাইলট সুমিত সাবরওয়াল এবং ক্লাইভ কুন্দারের ওপরেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এমনকী তদন্তকারীদের হাতে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শেষ মুহূর্তে দুই পাইলটের কথোপকথনও সামনে এসেছে। যার ফলেই পাইলটদের ওপর অভিযোগ তুলছে তদন্তকারীরা।

সমালোচনা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

যদিও এই ভয়েস রেকর্ডিং এখন সামনে আসেনি। শুধুমাত্র ১৫ পাতার রিপোর্টে কথোপকথনটি উল্লেখ রয়েছে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে সবমহলে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমাদের দেশের পাইলটরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। যাঁরা সেদিন বিমানে ছিলেন তাঁদের অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু তদন্তকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পাইলটদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, ফলে এই নিয়ে বিরোধীতা কেউ করবে না, এটা ভেবেই তাঁদের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার তদন্ত নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। আমরা চাই তদন্ত নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছভাবে হোক”।

দেখুন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য়

প্রাথমিক রিপোর্টে পাইলটদের কী কথা হয়েছিল?

প্রসঙ্গত, ১৫ পাতার প্রাথমিক রিপোর্টে যে কথোপকথন উঠে এসেছে, সেই রেকর্ড অনুযাযী, এক পাইলট অন্যজনকে প্রশ্ন করেন, ‘জ্বালানী বন্ধ করলে কেন’? জবাবে অপর পাইলট বলেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি’। এই কথোপকথনের পরেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ‘মে ডে’ বার্তা যায়। যদিও এই প্রাথমিক রিপোর্টে ভিত্তিতে এখনই কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।