Visva Bharati University: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে CISF মোতায়েনের নির্দেশ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University) সিআইএসএফ (CISF)মোতায়েনে ছাড়পত্র দিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (Human Resource Development Ministry)। এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। জানা গেছে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে বাহিনী মোতায়েনের জন্য সিআইএসএফ-কে চিঠি দিয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বর্তমানে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আধাসামরিক বাহিনী, এমনকী পুলিশও স্থায়ীভাবে মোতায়েন নেই। সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Photo: Facebook)

নতুন দিল্লি, ৭ নভেম্বর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University) সিআইএসএফ (CISF)মোতায়েনে ছাড়পত্র দিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (Human Resource Development Ministry)। এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। জানা গেছে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে বাহিনী মোতায়েনের জন্য সিআইএসএফ-কে চিঠি দিয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বর্তমানে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আধাসামরিক বাহিনী, এমনকী পুলিশও স্থায়ীভাবে মোতায়েন নেই। সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন।

গত মাসেই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সিআইএসএফের ডিরেক্টর রাজেশ রঞ্জনকে ( Rajesh Ranjan) চিঠি দিয়েছে। সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিআইএসএফ রাখার ব্যায় বহন করবে। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুদান কাজে লাগানো হবে। আরও পড়ুন: Andhra Pradesh: তেলেঙ্গানার ঘটনা থেকে শিক্ষা, আতঙ্কিত মহিলা সরকারি আধিকারিক জনগণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে কষে বাঁধলেন দড়ি

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakrabarty) আবেদনের পরই মন্ত্রকের তরফে এই চিঠি লেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা উল্লেখ করে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ মোতায়েন রাখার আবেদন জানানো হয়। সুরক্ষার স্বার্থেই স্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি জানান তিনি। চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, ‘‘বর্তমানে যেসব বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করেন, তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি অনুগত। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা আধিকারিকের নির্দেশ মান্য করে না। কাজে গাফিলতির কারণে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের হয়ে কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর সঠিক পরিচালনা ও শান্তি বজায় রাখতে সিআইএসএফ বাহিনী নিয়োগ করা হোক’’। চিঠিতে তিনি জানান, আবেদন ফর্মের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে চলতি বছরের মে মাসে পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করে। অধ্যাপক ও আধিকারিকদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রাখে। এই জাতীয় পরিস্থিতিতে সুরক্ষা কর্মীরা চুপ করে থাকে। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এমনকী তারা প্রতিবাদকারীদের মদতও দিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন একটি সংবেদনশীল বিষয়। মত প্রকাশে বাধা দিতে ও পড়ুয়াদের অধিকার খর্ব করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অনেকে মনে করেন। ২০১৭ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় একই আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তবে ঠিক ২ বছর পরে মনে হচ্ছে, মন্ত্রক এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান বদলেছে। সিআইএসএফকে দেওয়া চিঠিতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বভারতী কোনও বন্ধ ক্যাম্পাস নয় এবং সেখানে ছিনতাই-র ঘটনাও ঘটেছে। ক্যাম্পাসের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।