CBI: সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ পেতে দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডাতে চলল তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, গ্রেফতার ৪৩ জন
২০২২ সালে চক্র ৩-এর মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে যে আর্থিক প্রতারণা চক্রগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, বিদেশেও জাল ছড়াচ্ছে সেগুলির বন্ধ করতেই এই অপারেশন চালু হয়।
ক্রাইম সংক্রান্ত তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। ২০২২ সালে চক্র ৩-এর মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে যে আর্থিক প্রতারণা চক্রগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, বিদেশেও জাল ছড়াচ্ছে সেগুলির বন্ধ করতেই এই অপারেশন চালু হয়। এদিন সেই তদন্তের জন্যই দিল্লি লাগোয়া বিভিন্ন রাজ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় তল্লাশি অভিযান হয়। আর তাতেই হদিশ মিলল একাধিক সংস্থা কল সেন্টারের নামে প্রতারণা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এথনও পর্যন্ত এই অভিযানে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকী এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকে হংকংয়ে রয়েছে। যাঁদের ধরার জন্য সমস্ত তথ্য ইন্টারপোল ও এফবিআই পাঠিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, মূলত ৩ রাজ্যের ৭ জায়গায় শুক্রবার তল্লাশি অভিযান চালায় গোয়েন্দারা। এর মধ্যে গুরুগ্রামের ডিএলএফ সাইবার সিটির মধ্যে একটি কল সেন্টারে রমরমিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছিল প্রতারণা চক্রটি। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৩০টি কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, ৬৫টি স্মার্টফোন, ৫টি ল্যাপটপ, আর্থিক লেনদেনের নথিপত্র, কল রেকর্ডিং, যাঁরা এই ফাঁদে পা দিয়ে শিকার হয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা, যাঁদের টার্গেট করা হয়েছে সেই তালিকা, বেশ কয়েকটি প্রতিলিপি যেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের ফাঁদে ফেলার জন্য।
জানা যাচ্ছে, এই সংস্থাটি একটি তালিকা বানিয়ে ফোন করে বিভিন্ন অফার জানাতো। আর তাতেই আকৃষ্ট হয়ে অনেকে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলত। এই ঘটনা শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশেও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জেরা করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এই চক্র যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে তা আন্দাজ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।