ঝাড়খণ্ডে কমছে আদিবাসীদের সংখ্যা। আর এরজন্য দায়ী বাংলার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার লোকসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ থেকে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতে নিয়ে আসছে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। আর তারপর তাঁদের মালদা ও মুর্শিদাবাদ হয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হচ্ছে। আর এই বিষয়ে পূর্ণ সহায়তা করছে জেএমএম সরকার ও তাঁদের পুলিশ। আর সেই কারণেই ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ধর্মান্তকরণের ঘটনা। গ্রামগুলিতে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান আদিবাসী হলেও তাঁদের স্বামী ভিন্ন সম্প্রদায়ের। যার ফলে রাজ্যে কমছে আদিবাসীদের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই এদিন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের এই মন্তব্যে হই হট্টোগোল শুরু হয় সংসদ ভবনে।
গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বলেন, "দেশে বর্তমানে সংবিধান বিপন্ন হচ্ছে কিছু মানুষের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কারণে। বর্তমানে রাজ্যে আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিপন্ন করার কাজ করছে রাজ্য সরকার। ২০০০ সালে বিহার থেকে আলাদা হয়ে যখন ঝাড়খণ্ড রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল তখন এই রাজ্যে আদিবাসীরা ছিলেন ৩৬ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে পরিসংখ্যান ২৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ১০ শতাংশ মানুষ কোথায়? এই নিয়ে চুপ জেএমএম ও কংগ্রেস। প্রতিটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়, প্রতি ৫ বছর অন্তর জনসংখ্যা ১০-১৫ কিংবা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমাদের রাজ্যে ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই অন্য ধর্মের মানুষ"।
#WATCH | In Lok Sabha, BJP MP from Jharkhand's Godda, Nishikant Dubey says, "...The state I come from, from Santhal Pargana area - when Santhal Pargana separated from Bihar and became a part of Jharkhand, in 2000 tribals formed 36% of the population in Santhal Pargana. Today,… pic.twitter.com/ur7Aka6ZgJ
— ANI (@ANI) July 25, 2024
নিশিকান্ত আরও বলেন যে, "আমি হিন্দু-মুসলমান নিয়ে রাজনীতি করছি না। কিন্তু এরা কারা? এরা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। এরা এসে আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করছে। আমাদের রাজ্যে অধিকাংশ গ্রামের প্রধান, জেলা পরিষদের নেতা মহিলা। যাদের সকলের স্বামী অন্য সম্প্রদায়ের। সম্প্রতি আমাদের পাকুর তারানগর-ইলামি ও দাগাপাড়াতে সাম্প্রদায়িক ঝামেলা হয়েছিল। সেখানে জানা যায়, বেশিরভাগ হামলাকারী বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদ ও মালদা হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। এরা চায় যে রাতারাতি আদিবাসীদের হটিয়ে তাঁদের এলাকায় বসবাস করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও পুলিশ ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদকে অবিলম্বে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা উচিত। নাহলে আদিবাসীরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে"।